সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
লকডাউন শিথিল হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি জেলার আওতাধীন বিভিন্ন থানা/উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই গঠন প্রক্রিয়া শুরু থেকেই কমিটি ও পদবানিজ্যের অভিযোগ ওঠেছে। যদিও এমন অভিযোগ প্রায়শই কমিটি গঠনকালে শোনা যায়। এসবের অনেক কিছুর ভিত্তিও তেমন একটা পাওয়া যায়না। তবে খরচাপাতি বাদে যে একেবারেই কমিটি হয়ে যায় তাও নির্ধিদায় বলা যায়না। সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি খন্দকার আবু জাফর যে এবারের কমিটি থেকে মাইনাস হয়ে যাচ্ছেন সেটা পুরোপুরি অনুমেয়। এবার আহ্বায়ক পদে থাকতে যাচ্ছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নান। এতেও জামেলা নেই। কিন্তু খটকা লেগেছে সদস্য সচিব পদ নিয়ে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার চাচ্ছেন মান্নানের পছন্দমত সেলিম হক রুমীকে। কিন্তু বাধ সেধেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। মামুন মাহামুদ চাচ্ছেন তার বন্ধ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনকে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব পদে অধিষ্ট করতে। মান্নান পন্থীরা মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আপত্তি জানাচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে অধ্যাপক মামুন মাহামুুদের প্রতি ৬টি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা রুবেল হোসাইন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রুবেল হোসাইন ২৮ আগস্ট শনিবার লিখেছেন, সম্মানিত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ সাহেবের কাছে কিছু প্রশ্ন আমার সোনারগাঁ থানা বিএনপি কমিটি সম্পর্কিত গুঞ্জন নিয়ে। আপনি একজন অধ্যাপক তাই আপনাকে স্যার বলে সম্বোধন করাটাই আমার শিষ্টাচারে অন্তর্ভুক্ত।
তাই, স্যার আপনার সম্পর্কে সোনারগাঁ থানা বিএনপির নেতৃত্ব বাছাইয়ে আপনার সুপারিশকৃত একজন লোক নিয়ে গুঞ্জন চলছে কিন্তু আমার জানামতে শুনামতে আপনার বন্ধু তিনি, ওনাকে নিয়েই আপনার কাছে প্রশ্নগুলো-
১/ আপনি বিগত সময়ে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছেন, কিন্তু সোনারগায়ে আপনার সুপারিশকৃত লোক এই ১২বছরে একবারও কি জেলে গিয়েছে?
২/আপনি বিগত দলীয় কর্মসূচিতে বিভিন্নস্থানে মিছিল মিটিং করেছেন, আপনার সুপারিশকৃত লোক নিজশরীরে শুধু গুটিকয়েক জায়গা ছাড়া কোন জায়গায় মিছিল মিটিং করেছে?
৩/দীর্ঘ ১২টি বছর দল কঠিন থেকে কঠিন আন্দোলন সংগ্রামে পার করেছে ,আপনার সুপারিশকৃত লোক সোনারগাঁ য়ে কোন কর্মসূচিতে কি কোনো ভূমিকা রেখেছে ?
৪/আপনার সুপারিশকৃত লোক যাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশী সময় পার করেন সেই সবগুলো লোকই প্রায় জাতীয়পার্টি ও আওমীলীগের নয় কি?
৫/সোনারগায়ের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মতামত আপনার কাছে পৌছেছে তারপরও কেনো আপনার সুপারিশ এরকম লোকের পক্ষ হয় ?
৬/ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবসময় বলেন নিজ এলাকায় থাকা থাকা লোকদের নেতৃত্ব দিতে কিন্তু আপনার সুপারিশকৃত লোক কি এলাকায় অবস্থান করেন ? তিনি তো ঢাকা নিবাসী।
স্যার আজ এ পর্যন্তই শুধু প্রশ্নগুলোর উত্তর চাচ্ছি, আশাকরি গুঞ্জন সত্য নয়, আপনি নির্যাতিত হয়ে এমন লোকদের সুপারিশ করতে পারেন না।সুপারিশকৃত লোকের কোনো ভূমিকা সোনারগাঁ বিএনপিতে ছিলো কি না তা তৃণমূল সোনারগা এর নেতাকর্মীদের অবগত নয়।
তাই জেলার দায়িত্বশীলদের কাছে আহবান সোনারগাঁ বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী এটাকে দুর্বল করে দলের ক্ষতি করবেন না।