সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই কিসের মুক্তিযোদ্ধা? আপনি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের এমন প্রশ্নের জবাব দেননি আব্দুল হাই।
শহীদ বাদল আরো অভিযোগ তুলেছিলেন, ‘আব্দুল হাইয়ের এক বোন জামাই খন্দকার মোস্তাকের সরকারের এমপি ছিলো, ওই সময় আব্দুল হাই খন্দকার মোস্তাকের দলে ঢুকার জন্য খন্দকার মোস্তাকের বাসায় গিয়েছিলেন।’
শহীদ বাদলের এমন অভিযোগের বিষয়টিও রহস্যজনক কারনে এড়িয়ে গেছেন আব্দুল হাই। উল্টো জাতীয়পার্টির এমপি একেএম সেলিম ওসমানের বরাদ দিয়ে সেলিম ওসমানের কয়েক মাস পূর্বে দেয়া বক্তব্য দিয়ে শহীদ বাদলকে ঘায়েল করার চেষ্টা করেছেন আব্দুল হাই। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোন সদুত্তর দেননি তিনি।
এদিকে নেতাকর্মীরা এবার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, আপনি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন সেই সেক্টরের নাম বললেই হতো। আপনার কোনো বোন জামাই খন্দকার মোস্তাকের দলের এমপি ছিল কিনা? আপনি খন্দকার মোস্তাকের বাসায় গিয়েছেন কিনা?
এত্ত সহজ কটি প্রশ্নের উত্তর তো আব্দুল হাই এক লাইনেই দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি কেন শহীদ বাদলের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেন? যে কারনে আব্দুল হাইয়ের দিকে যেমন সন্দেহ বাড়ছে তেমনি শহীদ বাদলের এমন অভিযোগ ও প্রশ্নের গুরুত্ব নেতাকর্মীদের কাছে বেড়ে যাচ্ছে।
ঘটনা সূত্রে, গত ২৭ আগস্ট শুক্রবার সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের চক বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলামের আয়োজিত শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি আব্দুল হাই সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল।
সেদিন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে ইঙ্গিত করে শহীদ বাদল তার বক্তব্যে বলেছিলেন, কথায় কথায় হাইব্রিড বলেন- আরে হাইব্রিডটা কে দেখান না? আওয়ামীলীগে হাইব্রিডটা দেখান। আই এম দ্যা জেনারেল সেক্রেটারি অব নারায়ণগঞ্জ ডিস্ট্রিক আওয়ামীলীগ। যদি কোনো প্রমাণ করতে পারেন তাকে বহিষ্কার করা হবে।
শহীদ বাদল আরও বলেন, কোনো এক নেতা শুনলাম সেদিন এই সনমান্দি আইসা গেছে, ঘুইরা গেছে। আবার ওই গোগনগর আলীরটেকে উনি মিটিং কইরা আসছেন, সেখানে তিনি বললেন যে কমিটিতে হাইব্রিডের নাম ছিল, আমি সই করতে দেই নাই। আমি বলতে চাই জনাব আমি বাদল তখন কোথায় ছিলাম? আমি কি ছিলাম না সেখানে? আপনাকে জিজ্ঞেস করতে চাই আপনি কিসের মুক্তিযোদ্ধা? আপনি কোন সেক্টরে আপনি যুদ্ধ করেছিলেন তার প্রমাণ দেখান। মানুষ বলে, আপনার বোনের জামাই এমপি ছিল, খন্দকার মোশতাকের দলে ডুকার জন্য লাইন দিয়ে খন্দকার মোশতাকের বাসায় আপনি গিয়েছিলেন। যদি প্রমাণ চান এটা মানুষ প্রমাণ দিবে। বেশি কথা বলবেন না, কথা কম বলবেন।
২৮ আগস্ট শনিবার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের একটি আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে উদ্দেশ্য করে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেছেন, এখানে পাল্টাপাল্টি অনুষ্ঠান হচ্ছে, আমার সেক্রেটারি সাহেবও কিছু বক্তব্য রেখেছেন, পত্রিকায় আসছে, আমি কোনো উত্তর দিব না। কারন কয়েক মাস আগে এই আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান সাহেব উনার সম্পর্কে বলেছেন। উনি কোথা থেকে আসছেন, কিভাবে আসছেন, কারে ধইরা টাকা পয়সা বানাইছেন, কত টাকার মালিক হইছেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজে ম্যানেজিং কমিটিতে থেকে কত টাকা মারছেন, এসব জাতীয়পার্টির এমনি সেলিম ওসমান সাহেব বলেছেন। উনাকে লাঙ্গলমার্কা আওয়ামীলীগার কন, আমি কইনা, কারন আমার সেক্রেটারি আমি তো কইতে পারি না। তো উনি কি পদার্থ এটা সেলিম ওসমান বলছেন, উনি মতলব থেইকা আসছে, মতলব পাঠাই দিমু, এসব সেলিম ওসমান সাহেব বলছেন। আমি কিন্তু বলবো না। আমিও বলবো, হয়তো অন্য কোনো মিটিংয়ে বলবো। সোনারগাঁও কিংবা আড়াইহাজারে কোনো মিটিংয়ে বলবো।