সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নরসিংদী জেলার মাধবপুুর শিবপুরে আলোচিত মা ও মেয়েকে গণধর্ষণের মামলায় মূল হোতা মোখলেছকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)। র্যাব- ১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কাজী শামশের উদ্দীন ১৮ মার্চ সোমবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
র্যাব জানায়- গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি টিম ১৮ মার্চ ভোর ৫টায় নরসিংদী জেলার মাধবদী পৌরসভা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শিবপুরের চাঞ্চল্যকর বহুল আলোচিত মা ও মেয়েকে গণধর্ষণ মামলার মূল আসামী মোঃ মোখলেছকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত মোখলেছ একই জেলার শিবপুর থানার সৃষ্টিগড় এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে।
আরও জানায়- গ্রেপ্তারকৃত মোখলেছ গত ১৬ মার্চ নরসিংদী শিবপুর থানায় দায়েরকৃত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী ও ঘটনার মূল হোতা। তার নামে ইতিপূর্বে শিবপুর থানায় ডাকাতি, অস্ত্র ও আইন শৃঙ্খলা বিঘœকারী দ্রুত বিচার আইনসহ নানা অপরাধে ৬টি মামলা রয়েছে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে র্যাব চানায় গত ১৫ মার্চ মামলার ভিকটিম মা ও মেয়ে একসাথে ঢাকা থেকে হবিগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী বাসযোগে বাড়ি ফেরার সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় বাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের সৃষ্টিগড় বাসষ্ট্যান্ডের অদূরে বিকল হয়ে যায়। এসময় ঘটনার মূলহোতা মোখলেছ ও তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেন, শফিক, বাদল, বাবু, মোঃ আলমগীর মা ও মেয়েকে বাসে উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে সৃষ্টিগড় এলাকার প্রাইম জুটমিলের মধ্যে পরিত্যক্ত কক্ষে নিয়ে সহযোগীরাসহ পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। নির্যাতনের শিকার মা ও মেয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে মোখলেছ ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার হোসেন ও শফিককে গ্রেপ্তার করে। বর্ণিত ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল নজরদারী করাসহ উক্ত ঘটনার মূল হোতা মোখলেছ ও পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে। এরই প্রেক্ষিতে ১৮ মার্চ সোমবার ভোর ৫টায় নরসিংদী জেলার মাধবদী পৌর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোখলেছকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১১ দাবি করেছে- র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের মত মানবতা বিধ্বংসী অপরাধ সমাজে মহামারী আকার ধারণ করেছে। উক্ত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে র্যাব অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করে আসছে।