সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের মৃত্যুর পর এই উপজেলা পরিষদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। সাময়িকভাবে বর্তমান পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবুকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বও দেয়া হয়। আগামী ৭ অক্টোবর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী ভোট গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতিতে তাতে স্থানীয়রা মনে করছেন-নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম ঠিকিই থাকবে, কিন্তু ভোট গ্রহণ না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল। কারন এই নির্বাচনে থাকছেনা বিএনপি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জাতীয়পার্টি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোরও কোনো প্রার্থী দেখা যাচ্ছেনা। নির্বাাচনে ভোটাভোটি হলেও বিএনপি ও জাতীয়পার্টি ছাড়াও নৌকা প্রতীকের সঙ্গে লড়াই করার মত আর কোনো রাজনৈতিক দল দেশে নেই বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
তবে অনেকটা নিশ্চিত করে বলা যায় এখানে জাতীয়পার্টি এককভাবে কোনো প্রার্থী দিচ্ছেনা। আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হলেই দল থেকে হবেন বহিষ্কার। যার ফলে বিদ্রোহী প্রার্থীও থাকছেনা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেয়ার পর আওয়ামীলীগের ৭জন প্রার্থী নিজ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ফলে উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেলেই বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন ভাগ্যবান কোনো নেতা।
এদিকে জানাগেছে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজধানীর দলীয় কার্যালয় থেকে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন আওয়ামীলীগের ৭জন নেতা। এসব চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত ভোটের মাঠে একটি কর্মীসভাও করেননি। এতে বুঝা যাচ্ছে সকল প্রার্থীরাই নৌকা প্রতীকের প্রতি জোর দিয়েছেন।
৬ সেপ্টেম্বর সোমবার পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবু ওমর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুর ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, প্রয়াত মোশারফ হোসেনের ছোট ভাই মনির হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম।
জানাগেছে, গত ২২ জুলাই সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মৃত্যুবরণ করার পর এ উপজেলা পরিষদটি শূণ্য ঘোষণা স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। নির্বাচন কমিশনের নিয়মনুযায়ী পরিষদটি শূণ্য ঘোষণার ৩ মাসের মধ্যে উপ-নির্বাচন করতে হবে। সে অনুযায়ী গত ২সেপ্টেম্বর উপ- নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
তফসিলে ঘোষণা করা হয়- আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মনোয়নের শেষ তারিখ, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৪ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বিষয়ে কোন আপত্তি থাকলে তা আপিলের শেষ তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর, আপিল নিস্পত্তির শেষ তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর, প্রতীক বরাদ্ধ ২০ সেপ্টেম্বর ও নির্বাচনের তারিখ ৭ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।