সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আনন্দধামেরউদ্যোগে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে “জাতীয় উন্নয়ন ও নিরাপদ রাস্ট্র বিনির্মানে সাক্ষরতার গুরুত্ব” শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
৮ সেপ্টেম্বর বুধবার আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমুর সভাপতিত্বে স্থানীয় ইডেন থাই এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম ও আজিজুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান বাবু শ্যামল দত্ত ও মোঃ শহিদুল্লাহ।
আনন্দধামের মহাসচিব আবদুল মান্নান মিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সঞ্চালনায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের প্রধান সমন্বয়কারী বাবু রিপন ভাওয়াল।
এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৬৭ সাল থেকে ৮ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস গুরুত্ব সহকারে সমস্ত বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে বানীও দিয়েছেন। দিবসটির লক্ষ্য ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং সমাজের কাছে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরা। সাক্ষরতা বলতে জাতিসংঘ থেকে বলা হচ্ছে নিজের ভাষায় চিঠি লিখতে পারা, পড়তে পারা, দৈনন্দিন হিসেব-নিকেশ এর জ্ঞান সম্পূর্ণ হওয়াকে বুঝাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের যুগ্ম মহাসচিব বাবু বিশ্বজিৎ সাহা, সাংগঠনিক পরিচালক অ্যাডভোকেট শেখ মোঃ জসিম, পরিচালদের মাঝে মোঃ আল আমিন রাব্বি, আবদুর রহমান বাচ্চু, এনামুল হক প্রিন্স, অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন, ডাঃ অমল কৃষ্ণ মন্ডল, মনোয়ারা আলো মানিক, সাহাদাত হোসেন, বিপ্লব ঘোষ, মোতালেব সানি, জসিম উদ্দিন বাদল, বাহাউদ্দীন শাহ, নুরুল হক, মোক্তার হোসেন, খোকন গাজী, মাকসুদুর রহমান হিটু, প্রান বল্লভ দাস প্রমুখ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে জাতীয় উন্নয়নে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে হাসিনা রহমান সিমু বলেন, সাক্ষরতা ব্যতীত অর্থাৎ নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যতীত একজন নাগরিক তার প্রচন্ড দেশপ্রেম থাকা সত্যেও সার্বিক ভাবে দেশ উন্নয়নে সম্পৃক্ত হতে পারছেনা। তিনি আরো বলেন, বংগবন্ধুর বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা ফ্রী হওয়া সত্যেও নিরক্ষর মানুষ থাকা আমাদের নাগরিক ব্যর্থতা। আমি মনে করি দেশের প্রত্যেক নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে দেশকে নিরক্ষরতা মুক্ত করতে, এটা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।
মহাসচিব আবদুল মান্নান মিয়া সাক্ষরতার উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন বিজ্ঞান নিয়ন্ত্রিত এই বিশ্বে সম্মান নিয়ে টিকে থাকতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আনন্দধাম সাক্ষরতাকে উৎসাহিত করার জন্যে কাজ করে যাবে।
অনুষ্ঠানে আনন্দধামের পক্ষ থেকে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।