সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানা/উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয়েছে ধুম্রজাল। একের পর এক ঘটন অঘটন ঘটেই যাচ্ছে এই কমিটি গঠন নিয়ে। সোনারগাঁও থানা বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানকে পাস কাটিয়ে একটি কমিটির খসড়া জমা নিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। কিন্তু দেনদরবার করে অনেক আগেই মান্নানকে আহ্বায়ক পদটি নির্ধারিত হয়ে গেছে বিশেষ বিশেষ কারনে।
জানাগেছে, সম্প্রতি জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি কমিটির খসড়া জেলা বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার হাতে জমা দিয়েছেন। খসড়া কমিটি জমা দেয়ার ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তাদের সঙ্গে ছিলেন কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি মোমেন খান ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ প্রধান।
মুলত কাজী নজরুল ইসলাম টিটু ও আশরাফ প্রধান আজহারুল ইসলাম মান্নান বলয়ে রাজনীতি করতেন এমনটা দেখা গিয়েছিল কয়েক বছর যাবতই। কিন্তু হটাত করে মান্নানকে পল্টি দিয়ে কাটী টিটু ও মোশারফ হোসেনের সঙ্গে কমিটি জমা দিলেন আশরাফ প্রধান। বিষয়টি নিয়ে সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীদের মাঝে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
যেখানে মান্নানকে বাদেই কমিটি জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হাতে জমা দেয়া হলো। আবার জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারাও তা গ্রহণ করলেন। কাজী নজরুল ইসলাম টিটু অনেক আগেই মান্নান বলয় ছেড়েছেন। এবার মান্নান বলয় ছাড়লেন আশরাফ প্রধান।
আরো জানাগেছে, সোনারগাঁয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা রয়েছেন যারা মান্নানের বলয়ে রাজনীতি করে আসলেও তারা সুযোগের অপেক্ষায় রযেছেন সময়বুঝে পল্টি দেয়ার। মান্নানের নেতৃত্বকে মানতে চাচ্ছেন না তারা। এখানে বিশাল অংশের নেতাকর্মীরা সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমের অনুসারী রয়েছেন। আবার থানা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর বলয়েরও অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন, যারা মান্নানের নেতৃত্বে রাজনীতি করতে অনীহা প্র্রকাশ করে আসছেন। তারাই চাচ্ছেন সোনারগাঁয়ে দুটি বলয়ে বিএনপির কমিটি গঠন করা হোক।
এমন দাবির প্রেক্ষিতে, আহ্বায়ক পদে মান্নানের পদ বহাল থাকলেও সদস্য সচিব পদে গুরুত্ব পাচ্ছে মোশারফ হোসেন। কিন্তু সোনারগাঁয়ের রাজনীতির আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথ চাঙ্গা করার বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব পাচ্ছেন সেলিম হক রুমী। কারন সোনারগাঁয়ের মধ্যে কাঁচপুর ও পিরোজপুর দুটি এলাকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দুটি ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এর ফলে সেলিম হক রুমীর দিকে যুক্তি বেশি। আবার মোশারফ হোসেনকে বাদ দিলে বিএনপির বিশাল অংশের নেতাকর্মীরা যাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে। ফলে দোটানায় পড়েছে জেলা বিএনপি।