সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে দীর্ঘ ৫৭ বছরের জীবন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সহচর অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া। একজন প্রবীণ সাংবাদিক ও আইনজীবী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কিংবা সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী ভুমিদস্যূ বিতর্কিতদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার কোনো অভিযোগও ওঠেনি। একজন স্বচ্ছ এই রাজনৈতিককে মুল্যায়ন করায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগে সৃষ্টি হয়েছে উচ্ছ্বাস। আওয়ামীলীগে স্বচ্ছ রাজনীতিতে মুল্যায়ন হয় সেই বিষয়টি উপলুদ্ধি করেছেন রাজপথের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে তাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি তাকে কেনো দল নৌকা প্রতীক তুলে দিলো। একবাক্যে তাকে মেনে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের। নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পত্র দাখিল থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতই। নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের সেখানে জমায়েতের বিষয়টিও ছিল বেশ আলোচিত।
আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতও বলেছেন, উনার রাজনীতির জীবনও আমাদের অনেকের বয়সের চেয়েও বেশি।’ আবার অন্যদিকে প্রবীণ এই রাজনীতিককে মূল্যায়ন করায় জাতীয়পার্টিও তাকে সম্মান করে এখানে কোনো প্রার্থী না দিয়ে তাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া নির্বাচিত হয়েছেন। একমাত্র তিনি ছাড়া আর কোনো প্রার্থী না থাকায় তাকে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মতিয়ুর রহমান।
২০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মােহাম্মদ মতিয়ুর রহমান এই ঘোষণা দেয়ার পর সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া একক প্রার্থী হওয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে হয়েছেন।
এর আগে গত ২২ জুলাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মােশারফ হােসেনের মৃত্যুতে উপজেলা পরিষদটি শূণ্য ঘোষণা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। ২ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের তফসিল ঘােষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত অনুযায়ী আগামী ৭ অক্টোবর ভােট হওয়ার কথা ছিল।
যদিও এই উপ-নির্বাচনে মনােনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন আওয়ামীলীগের আরো ৬জন। কিন্তু মনােনয়নপত্র জমার শেষ দিন ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ছাড়া আর কেউ মনােনয়নপত্র জমা দেননি।
ফলে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনােনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ছিলেন। এর আগে মনােনয়ন বৈধ ঘােষণা করা হয়েছে। যেহেতু একজন প্রার্থী, তাই আর মার্কা দেওয়ার কোনো বিধান নেই। এ অবস্থায় অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এরপর গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো হবে।