সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জনতা ৩জনকে ধরে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা হতে দুপুরের মধ্যে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পুরিন্দা বড়বাড়ি এলাকায় নান্নু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া সামাদের ঘরে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়িতে খেলা করার সময় নিখোঁজ হয়। শিশুকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। দুপুর পৌনে ১টার দিকে শিশুটির পিতা মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে পাশের নান্নু মিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে নান্নু মিয়ার ছেলে মোহাইমেন ও অনু মিয়াকে নিয়ে ভাড়াটিয়া সামাদের ঘরে খুজতে থাকে। ঐ সময় তার ঘরের বারান্দার কক্ষে চৌকির মধ্যে ছেড়া কাথা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় শিশুর মৃত দেহ দেখতে পান। নিহত শিশুর খোলা শরীর, গলায় গামছা বাঁধা ও পা দুটো বেল্ট দিয়ে বাঁধা এবং তার গোপনাঙ্গ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। ঐ সময় শিশুর বাবা চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এসে আশ্রাব আলীর ছেলে ভাড়াটিয়া সামাদ, উপজেলার আসোয়াট এলাকার আনোয়ার হোসেন আনুর ছেলে সোহেল ও নরসিংদীর মাধবদী থানার ভগিরতপুর এলাকার নাসিরউদ্দিনের ছেলে শিমুলকে আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে শোপর্দ করে। বাড়ির মালিকের ছেলে মোহাইমেন জানান, তাদের এ ঘরটিতে সামাদ ও শিমুল ভাড়া নিয়ে থাকতো।
শিশুর পিতা জানান, নিহত শিশুর গোপনাঙ্গ রক্তাক্ত অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
আড়াইহাজার উপপরিদর্শক কাজী সালেহ আহমদ জানান, স্থানীয় উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। নিহতের পরিবার থেকে মৌখিকভাবে ধর্ষণের কথা বলা হচ্ছে। তবে নারায়ণগঞ্জ থেকে পিবিআই টিম আসলে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হবে।
আড়াইহাজার থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।