সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপি এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে অন্যান্য প্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলনের পর এবার সেই মন্ত্রীর পক্ষে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন আরও কজন প্রার্থী। আগের দিন ২৩ মার্চ শনিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। যদিও ওইদিন তারা দাবি করেছিলেন তারা ৭ জন।
আগের দিন নির্বাচনে গাজীর বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন নৌকার প্রার্থী সহ তিন প্রার্থী। মূলত ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ওই প্রার্থীরা এই ধরণের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেন তাঁরা।
২৪ মার্চ রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহজাহান ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ ভূইয়া এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা এ দাবি করেন।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ২০০৯ সালে আমি প্রথম আনারস মার্কায় নির্বাচন করি। আমার প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন বিএনপির নুরুজ্জামান খান। তিনি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিলে আমি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলীয় কোন প্রতীক না পেয়ে আনারস মার্কা নিয়ে হিসেবে জয়ী হই।
তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জে সাড়ে তিন লাখ ভোটার ও কেন্দ্র রয়েছে ১৮৭টি। কেন্দ্রগুলোতে যতগুলো বুথ রয়েছে সেখানে একজন করে এজেন্ট দিলেও কমপক্ষে ৮’শ এজেন্টের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমার প্রতিপক্ষ যারা নির্বাচন করেছে তারা সমস্ত কেন্দ্রে একজন করে এজেন্ট দিতে পারবে কিনা এ ব্যাপারে আমার সন্দেহ রয়েছে। যার কারণে তারা মিথ্যা অপপ্রচার করে বানোয়াট তথ্য দিয়ে এলাকার ভোটারদের বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য এ অপপ্রয়াস চালিয়েছে। সেখানে ৭ প্রার্থীর অভিযোগের কথা বললেও সবাই উপস্থিত ছিলেননা।
আগের দিন শনিবার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অংশগ্রহণকারী ৭ প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাবিবুল কাদির তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া, মহিলা ভাইস চেয়াম্যান প্রার্থী হ্যাপী বেগম ও শায়লা তাহমিন সিথী। তবে ওইদিন এই তিন প্রার্থীকেই মন্ত্রী একটি প্যানেল করেছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন তারা।