সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতি অনেক আগেই রাজপথবিমুখ। রাজপথের আন্দোলন ছেড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একেকজন নেতাকর্মীদের গরম গরম বাক্য দেখা যায়। কেন্দ্র থেকে কর্মসূচি দিলেও সেটা মিডিয়া কর্মীদের সামনে নামেমাত্র ফটোসেশন করেই সমাপ্তি টানা হয়। হরতাল অবরোধ কর্মসূচিতেও এখানে বৃক্ষবাগানে বনজঙ্গলে কিংবা আড়ালে আবডালে বিলের জমিতেও ফটোসেশনের নজির রেখেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। হরতাল অবরোধে ফটোসেশনই তাদের কর্মসূচি। এমনটা চলে আসছে সেই ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে পরে থেকেই। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি আরো প্রকট হয়েছে।
এখন বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কোনো কমিটিই সম্মেলনের মাধ্যমে হয়না। পকেট কমিটিই ভরসা। বড়জোর কমিটির কাগজ হাতে নিয়ে ফটোসেশন। কমিটি পাওয়ার আগে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতেও ফটোসেশন। কমিটি পাওয়ার পর সেই রাস্তা ছেড়ে কারো অফিস কিংবা চেম্বারে ফটোসেশন। পুরোপুরি যখন ফটোসেশন নির্ভর বিএনপির রাজনীতি, তখন লাশ দেখতে গিয়েও হাসিমুখে ফটোশেসনের নজির রাখলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের পিতা মুস্তাফিজুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। ওইদিন বিকেলে ঢাকার ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহের রাজেউন)।
ওইদিন ওই হাসপাতালে মুস্তাফিজুর রহমানের লাশ দেখতে চান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সহ জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী। মুলত যেসব নেতাকর্মীরা আজাদের তল্পিবাহক হিসেবে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পদ পদবী কিংবা কমিটি ভাগিয়ে নিতে চান তারাই সেখানে দৌড়ে গিয়েছেন। এর বাহিরেও অনেকে গিয়েছেন যারা শোক প্রকাশ করার লক্ষ্যে। কিন্তু সেখানে বিএনপির বেশকজন নেতাকর্মী তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে ফটোসেশন করেছেন। ওই ফটোসেশনের ছবিও তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কারন ওই ছবিতে দেখা যায় নেতাকর্মীরা হাস্যোজ্জল। তাদের ফটোসেশন দেখে মনে হয়েছে তারা কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন।
ফেসবুকে প্রকাশিত ওই বেশকটি ছবিতে দেখা যায় তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে জেলা বিএনপির সদস্য রুহুল আমিন সিকদার, জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আশরাফ ভুঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ প্রধান সহ বেশকজন। যারা বেশ হাসিমুখে ফটোসেশন করেছেন। এমন ছবি ফেসবুকে তারাই প্রচার করলে নেতাকর্মীদের মাঝে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়।