সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসব আসলেই একটি মহল উঠে পড়ে লাগে। সা¤প্রদায়িক সহিংসতা ঘটনোর চেষ্টা করে। এবারেও সেই অসাধু চক্র অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। একটি ফেক ফেইসবুক আইডি দিয়ে ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে কে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে দূর্গা পূজার আগেই গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে কে মুক্তি দিতে হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই কোন দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষকে কখনো পূজা পরিষদের সভাপতি করা হয় না। প্রশাসনকে এ বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্রকে আটক এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাংচুর ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এই সভার আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন শেষে নগরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা যায়। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনের সভাপতিত্বে এসময়ে প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম কুমার সাহা, মহানগরের সভাপতি অরুণ কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা, মহানগর ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দে, ফতুল্লা থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রঞ্জিত মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক শিবু দাস, সোনারগাঁওয়ের সভাপতি লোকনাথ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক এড. প্রদীপ ভৌমিক, বন্দরের সভাপতি শংকর দাস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, সিদ্ধিরগঞ্জের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, সাধারণ সম্পাদক খোকন বর্মন, পূজা পরিষদ নেতা হিমাদ্রী সাহা হিমু, সুশীল দাস, প্রদীপ মন্ডল, তপন দাস, তপন গোপ সাধু, কৃষ্ণ আচার্য্য, জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি আনন্দ সেরাওগী সুমন, সাধারণ সম্পাদক ভজন চন্দ্র দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বজিৎ মন্ডল শুভ, মহানগরের সভাপতি এড. অঞ্জন দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুন চত্ত বিল্লুসহ জেলা ও মহানগর এবং উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।