সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে সরেছেন প্রায় দুই বছর আগে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অস্তিত্ব বলতে এখনও সেই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারই। কমিটিতে না থাকলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নামকাওয়াস্তে কমিটি গঠন করা হলেও তৈমূর আলমের সঙ্গে শোডাউনে পাল্লা দিতে পারেনি দলের কোন কর্মকান্ডেই। এবারও তৈমূর আলম খন্দকার তার অস্তিত্বের জাগানিয়া দিতে আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস মঙ্গলবার শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
জানাগেছে, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন মঙ্গলবার বিশাল শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। এ উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যে গত ২২ মার্চ শুক্রবার বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে মাসদাইরে তার মজলুম মিলনায়তনে প্রস্তুতিমুলক সভাও করেছেন। যেখানে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। জেলা কমিটিতে সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ এবং মহানগর বিএনপির কমিটিতে সাবেক এমপি আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কামালকে সেক্রেটারি করা হয়। এর আগে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার ও কাজী মনির ছিলেন সেক্রেটারি। মহানগর কমিটির আগে ছিল শহর বিএনপির কমিটি। শহর বিএনপির কমিটিতে সভাপতি ছিলেন প্রয়াত জাহাঙ্গীর আলম ও বতর্মান মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল ছিলেন সেক্রেটারি। ওই সময় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একক নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব ছিল তৈমূর আলমের হাতে।
২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকার সভাপতি নির্বাচিত হন। কাজী মনিরকে সেক্রেটারি করা হলেও তিনি দলীয় কর্মকান্ড ও রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন নিষ্ক্রিয়। যে কারনে তৈমূর আলম খন্দকার পুরো জেলার নেতাদের চাঙ্গা রাখতে নিজে একাই বিএনপির কর্মকান্ডকে সামনে নিয়ে গেছেন। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় বিএনপির সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা নির্বাচিত হন তৈমূর আলম খন্দকার।
কিন্তু রহস্যজনক কারনে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তৈমূর আলম খন্দকারকে বাদ দিয়ে জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কমিটিতে তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে যেসব নেতারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন সেইসব নেতাদের বাদ দেয়া হয়। দুএকজনকে কমিটিতে নামকাওয়াস্তে রাখা হলেও অপরিিিচত কিংবা নিষ্ক্রিয় নেতাদের রাখা হয় রাজপথের নেতাদের সামনে। রীতিমত রাজপথের নেতাকর্মীদের অপমান অপদস্থ করা হয় ওই কমিটি গঠনের মাধ্যমে। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়েননি তৈমূর আলম খন্দকার ও তার নেতাকর্মীরা। জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হলেও এই কমিটির চেয়ে বড় শোডাউন এখনও দিতে পারেন তৈমূর আলম খন্দকার। কারন তিনি যখন জেলা বিএনপির রাজনীতিতে নেতৃত্বে ছিলেন তখন তিনি পুুরো জেলার অলিগলিতেও নেতাকর্মী সৃষ্টি করেছেন। এতে তার বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে। ফলে এখনও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অস্তিত্ব বলতে তৈমূর আলম খন্দকার ও তার বিশাল কর্মী বাহিনীকেই বুঝায়। তেমনি আবারো তিনি জাগানিয়া দিবেন মহান স্বাধীনতা দিবসে। যদিও তিনি এসব দিবসগুলোতে প্রতি বছরই বিশাল শোডাউন করে থাকেন।