সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের এমন আভাসের পর ঢাকঢোল পিটিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে কিছুটা সরব দেখা যাচ্ছে। আবার তাকে দমাতে তার প্রতিদ্বন্ধি মনোনয়নপ্রত্যাশিরাও তৎপর নির্বাচনী মাঠে। কিন্তু এক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান ঢিমেতালে। এই নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে স্থানীয় কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবেনা- বিএনপির এমন ঘোষণায় পুরোদমে মাঠে নামছেন না দলের ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশিরা।
যদিও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে বেশ সরব অবস্থান দেখাচ্ছেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যিনি ফেসবুকে, মিডিয়াতে, অনলাইনে সাক্ষাৎকার দিয়ে বেশ আলোচনায় চলে আসছেন। কিন্তু বাকিরা নেতাকর্মীদের মুখে মুখে আলোচনায় থাকলেও নির্বাচনী কর্মকান্ডে নাই। এবারের নির্বাচন নিয়েও বিএনপির হেভিওয়েট নেতাদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছেন। যার মধ্যে মধ্যমসারির নেতারা বেশ আলোচনায়।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের এবারের নির্বাচনেও হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে মনে করা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনকে নির্বাচন নিয়ে কোনো কর্মকান্ড দেখা যাচ্ছেনা। তাদের এবারের নির্বাচনেও তেমন কোনো আগ্রহ নেই। গত নির্বাচনে মেয়র আইভীর প্রতিদ্বন্ধিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি আবুল কালাম ও গিয়াসউদ্দীন। তৈমূর আলম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি থাকলেও ২০১১ সালে কেন তাকে নির্বাচনের সাত ঘন্টা আগে বসিয়ে দেয়া হলো বারবার সেই বিষয়টি দলের নেতাদের কাছে জানতে চান। তাকে নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেও তাকে নির্বাচনে প্রার্থী করাতে পারেনি বিএনপি।
পরবর্তীতে ওই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। সাখাওয়াত হোসেন খানকে নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেয় বিএনপি। নির্বাচনে তিনি মেয়র আইভীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করে ৯৬ হাজার ভোট পান। নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতারা ধানের শীষ প্রতীকের বিপক্ষে জোরালোভাবে কাজ করেননি। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী মেয়র আইভীর পক্ষে কাজও করেছেন।
এদিকে কয়েক মাস পূর্বে মেয়র প্রার্থী হিসেবে পোস্টার ছাপিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেব চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল। করোনাকালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে করোনার লাশ দাফন ও সৎকার করে দেশ বিদেশে আলোচনায় চলে আসেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। সেই থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে নিয়ে মেয়র নির্বাচনে আগ্রহী হয়ে ওঠেনি। যদিও এ বিষয়ে খোরশেদ এখনও নির্বাচনের কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেনি।