সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আসন্ন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশ আলোচিত হয়ে ওঠেছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে একেবারেই টগবগে তরুণ আলমগীর হোসাইন ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি ভোটের হিসেবে তৃতীয় হয়েছিলেন। ভোট পেয়েছিলেন আওয়ামীলীগের সমর্থিত দলীয় প্রার্থীর চেয়েও বেশি। এবার তিনি তৃতীয় নয়, তিনি এবার ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ের আশা নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। নিয়মিত তিনি করছেন বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ। তরুণ বয়সে তিনি জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেই বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মত দাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। বন্দরের একটি আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক পরিবার থেকে ওঠে আসা আলমগীর হোসাইন স্বপ্ন দেখেন বন্দরবাসীর উন্নয়নে। লোভ লালসার উর্ধ্বে থেকে তিনি মানুষের সেবার ব্রত হয়ে নির্বাচনে যাচ্ছেন।
তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা এবং নির্বাচিত হলে বন্দরবাসীর জন্য তিনি কি কি করবেন সেই সব বিষয় তিনি জানালেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে। সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন তার বন্দরবাসীকে নিয়ে স্বপ্নের কথা। সেই সঙ্গে তিনি ভোট প্রার্থনা করেছেন ভোটারদের কাছে। তিনি এও দাবি করেছেন যারা প্রার্থী হবেন তাদের মধ্যে প্রার্থীর যোগ্যতা ও প্রার্থীদের কার কি অতীত সেই সব বিষয়ও জেনে শুনে যেনো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হয় সেই বিষয়েও তিনি ভোটারদের প্রতি অনুরোধ রেখেছেন।
কেন আপনি বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবারো নির্বাচনে দাড়াবেন জানতে চাইলে আলমগীর হোসাইন বলেন, কারন বন্দর ইউনিয়ন থেকে কোন প্রার্থী নাই। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও ছিল না। বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সাহেবের ছেলে আমি। ২০১৪ সালেও আমি নির্বাচন করেছিলাম। সেই নির্বাচনে আমি তৃতীয় হয়েছিলাম। আওয়ামীলীগের প্রার্থী ছিলেন এবিএম কাশেম। তিনি কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি তার চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছিলাম দলীয় সমর্থন ছাড়া।
তরুণ এই রাজনীতিক আরও বলেন, আমি আওয়ামীলীগের পরিবার থেকেই রাজনীতিতে আসছি। আমার বাবা জোহা সাহেবের রাজনীতি করেছেন। অনেকেই দাবি করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তারা। আসলেই যারা দাবি করেন- তারা কতটুকু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করেন সেটা বন্দরবাসীর জেনে নেয়ার অনুরোধ করি।
তিনি বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, দলমত নির্বিশেষে ভাল ব্যক্তিকেই ভোট দিবেন। যাতে বন্দর উপজেলাবাসীর সার্বিক উন্নয়ন হয়। মাদকমুক্ত বন্দর উপজেলা হয়। আমি এটুকুই চেষ্টা করব। আমার প্রধান কাজই হবে বন্দর উপজেলা থেকে মাদকমুক্ত করা। ইভটিজিং মুক্ত করা। মানুষের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা। আমি নির্বাচিত হলে আমার সকল কাজ হবে নিঃস্বার্থে। আমার টাকা পয়সার প্রতি কোন লোভ নাই। কখনও ছিলওনা। আমার সম্পর্কে জানতে আমার এলাকার আশপাশে যারা আছেন তাদেরকে কাছে জানতে চাইলে আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমি কেমন মানুষ।
তিনি বলেন, আমি আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছি। আইন পেশায় আমার স্যার বন্দর থানা যুবলীগ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই আগামী নির্বাচনে যারা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাড়াবেন তাদের সম্পর্কে ভোটারগণ জানুক। জেনে শুনে তারা যেনো ভোট দেয়। কে কেমন ব্যক্তি এসব জেনে শুনে যেনো ভোট প্রদান করেন সেটাই বন্দরবাসীর ভোটারদের কাছে আমার অনুরোধ।
সম্ভাব্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর হোসাইন আওয়ামীলীগের দলীয় কোন সংগঠনের পদে না থাকলেও তিনি আওয়ামীলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত। তিনি বলেন, আমার বাবা বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় দীর্ঘ ১৭/১৮ বছর ধরে। আমার বড় ভাই অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। আমার কোন পদ না থাকলেও রাজপথে আমি সক্রিয় রাজনীতি করেছি। ২০০২ সাল থেকে বিএনপি জামাত জোটের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।
তরুণ বয়সে আপনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে গত ২০১৪ সালে নির্বাচন করেছিলেন। তরুণ বয়সে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাড়ানোর আপনার মুল উদ্দেশ্য কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিন্তু তরুণদের অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন এবং জাতীয় সংসদে গিয়েছেন। তারা এমপি হয়েছেন। তন্ময়ের মত একজন তরুণ কিন্তু এখন জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি সবচেয়ে কম বয়সে এমপি হলেন। আমি মনে করি তরুণরাই পারবে সমাজকে পরিবর্তন করতে। সমাজের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে। সমাজের মানুষকে শান্তিতে রাখতে। আমার একটাই উদ্দেশ্য মানুষের শান্তি কামনা করা। এসব কারনেই আমি উৎসাহ পেয়ে নির্বাচনে এসেছিলাম।
এছাড়াও তিনি বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে আমার একটাই কথা- গত নির্বাচনে আমাকে আপনারা ভালবেসে ভোট দিয়েছিলেন। আমি অল্পের জন্য পাস করতে পারিনি। আপনারা সকল প্রার্থীর মধ্যে বাছাই করে জেনে শুনে ভোট দিবেন এবং ভাল মানুষকে ভোট দিবেন। আমি আওয়ামীলীগের সমর্থনেই নির্বাচন করব। আওয়ামীলীগ বা অন্য কোন দল বুঝিনা। আমি বন্দরের সর্বস্তরের মানুষের ভোট প্রার্থনা করি।
ক্রীড়া প্রেমী এই তরুণ রাজনীতিক পুরান বন্দর টাইগার ক্রীড়া সংঘের সভাপতি। তিনি বলেন, সেখান থেকে আশপাশের যেসব গ্রামগুলো থাকে যারা খেলাধুলা করে। আমি আমার ব্যক্তিগতভাবে যারা অর্থের টানাপোড়ানে থেকে লেখাপড়া করে তাদের কলম খাতা ফাইল এসব দিয়ে থাকি। এটা আমার সামর্থ যতটুকু আমি করি- আর কি।
তিনি বলেন, আমার অতীত কোন খারাপ রেকর্ড নেই। আপনারা কোন খারাপ রেকর্ড আমার খুজে পাবেন না। এমনকি আমার বাবা যখন চেয়ারম্যান ছিলেন উনারও কোন খারাপ রেকর্ড নেই। তিনি কোন বিচার শালিশি করে টাকা পয়সা খাইছেন এসব কেউ বলতে পারবেন না। আমি আমার বাবার মতই মানুষের সেবা করতে চাই। সর্বপরি বলতে পারি আমাদের বংশে কারো সম্পর্কে কোন খারাপ রেকর্ড নেই ইনশাহআল্লাহ। যদি কোন খারাপ দিক কেউ বের করতে পারেন তাহলে যেনো তারা আমাকে ভোট না দেন।