অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির পদ হারিয়েছেন দুই বছর আগেই। কিন্তু তার পদ না থাকলেও তার নামের উপর এখনও নারায়ণগঞ্জে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি শোডাউন করতে পারেন। তেমনটাই আবারো তিনি প্রমাণ করলেন মহান স্বাধীনতা দিবস পালনের দিন। এদিন নারায়ণগঞ্জে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগানের রব তুলে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালনে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করে কারাবন্ধি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগানে শোডাউন করেছেন তৈমূর আলম খন্দকার। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ভবনের সামনে থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কে শোডাউন করে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে চাষাড়া প্রাণ কেন্দ্র বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর শেষে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের শপথ বাক্য পাঠ করান তৈমূর আলম খন্দকার। শপথে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে আমাদের একটাই দাবি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আমরা কোন পদ পদবী চাইনা। কোন চেয়ার চাইনা। কোন ক্ষমতা চাইনা। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নামের ব্যানারে জেলার সাতটি থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে সকাল থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে জড়ো হন। তারপর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী নিয়ে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
শোডাউনের পূর্বে নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আজকের এইদিনে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণ করছি শহীদ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সহ সকল শহীদদের প্রতি। শ্রদ্ধা জানাই মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আজকে দেশ একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশটা স্বাধীনতা হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্র আজকে বিপর্যস্ত। গণতন্ত্রের মা আজকে জেলখানায়। আজকের এই দিনে আমাদের শপথ হোক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে আমরা ঘরে ফিরবো না।
তিনি আরও বলেন, কে কমিটি পেল আর কমিটি পেল না। কে পদ পেল আর কে পদ পেল না সেটা এখন বিষয় না। কে গ্রুপিং করলো, কে লবিং করে বড় পদ পেয়ে বড় নেতা হয়ে গেল সেটাও এখন দেখার বিষয় না। আমরা এখন লবিং গ্রুপিং তদবিরবাজ দল চাইনা। আমরা চাই সেটা হলো আমাদের একমাত্র দাবি, একমাত্র শপথ, একমাত্র বক্তব্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। আমরা আলাদাভাবে কর্মসূচি দিব। আইনে লড়াই সহ সকল কর্মসূচি থাকবে ইনশাহআল্লাহ।
অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে বিশাল এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর খন্দকার মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সুলতান মাহামুদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভুইয়া, আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন, শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, বিল্লাল হোসেন, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল প্রধান, জুয়েল রানা, আক্তার হোসেন খোকন শাহ, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা এমএম সাগর, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাসিরউদ্দীন, মহানগর শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন, শ্রমিকদল নেতা বিল্লাল হোসেন, লিটন মিয়া, শ্রমিকদল নেতা রবি মেম্বার, শ্রমিকদল নেতা তুষার আহমেদ মিঠু, ফতুল্লা কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি মইনুল হোসেন রতন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবু, মহানগর ছাত্রদল নেতা সাইদুর রহমান সহ উল্লেখ্যযোগ্য শতাধিক শীর্ষ নেতা এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন। যেখানে কয়েক হাজার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে এই শোডাউন করেন তৈমূর আলম খন্দকার।