সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসন। এই আসনে টানা দুই মেয়াদে আওয়ামীলীগের এমপি হিসেবে রয়েছেন দেশব্যাপী পরিচিত নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা একেএম শামীম ওসমান। অথচ তার এই আসনে রয়েছে বিএনপির দাপট। ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিকদার গোলাম রসুল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেছিলেন- বিএনপি নেতা মনিরুল আলম সেন্টুর লোকজন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার লোকজনকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছেন। ভাবা যায় এটা শামীম ওসমানের এলাকা?
শেষতক নৌকা প্রতীক ডুবিয়ে এখানে বিএনপি নেতা সেন্টু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন! সেই ২০০৯ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস! এর রহস্য এখনও উদঘাটন করতে পারেনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। ফতুল্লা ইউনিয়নে সীমানা সংক্রান্ত মামলা ঠুকে দেয়ায় আজাদ বিশ্বাস এখনও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
ডিএনপি প্রকল্প পাস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে ফতুল্লায় সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন এমপি শামীম ওসমান। ওই সময় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আজাদ বিশ্বাস ও মনিরুল আলম সেন্টু। ওইদিন আজাদ বিশ্বাস বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, আমার নেতা শামীম ওসমান। একারনে আজাদ বিশ্বাসকে নিয়ে কঠোর সমালোচনা হয় বিএনপিতে। কুতুবপুুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফতুল্লা থানা বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল আলম সেন্টুকে ডেকে এনেও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করাতে পারেনি বিএনপি। পরে তাকে শোকজ করা হয়। এরপর সরকারি দলের হয়ে কাজ করায় তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।