সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
মহান স্বাধীনতা দিবসে নারায়ণগঞ্জে রীতিমত বিএনপির বিভিন্ন বলয়ের নেতারা পৃৃথক পৃথকভাবে শোডাউন করে নিজেদের অবস্থান জানানি দিয়েছেন। স্বাধীনতা দিবসেও এসব শোডাউনে নেতাকর্মীরা একটাই শ্লোগান তুলেছেন তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। যার মধ্যে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার নেতাকর্মীদের শপথ পড়িয়েছেন।
মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খানও তার বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জোড়ালো শ্লোগানে বক্তব্য দিয়েছেন। বিএনপির শোডাউনে যখন নারায়ণগঞ্জ শহর উত্তাল তখন কোথাও দেখা মিলেনি নারায়ণগঞ্জের সমালোচিত দুই তরুণ রাজনীতিক নজরুল ইসলাম আজাদ ও মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়ার। যদিও তারা বরাবরের মতই কেন্দ্রীয় বিএনপির কোন কর্মসূচি এমনকি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিতেও থাকেন না।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর নজরুল ইসলাম আজাদ ও দিপু ভুঁইয়া রাজনীতির মাঠে নেই বললেই চলে। এই দুই নেতার একজন গত নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। আরেকজন প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের অবস্থান দেখে অনুমেয় তারা বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন। দুজনই নিষ্ক্রিয় দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোতেও। এমনকি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ঘর থেকে বাহির হননি ঘরকোণে হাইব্রীড খ্যাত এই দুই তরুণ রাজনীতিক।
শুধু দলীয় কর্মসূচি কিংবা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি এমনকি জনগণের পক্ষের কোন কর্মসূচিতেও তারা থাকছেন না সব সময়ই। কিন্তু দলের নেতাকর্মীরা মারা গেলেও তাদের জানাযাতেও তারা আসছেন না। সম্প্রতি জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সিদ্ধিরগঞ্জ মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ইব্রাহীম সর্দার মারা গেলেও তাদের জানাযাতেও এই দুই নেতাকে দেখা যায়নি।
নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, নজরুল ইসলাম আজাদকে হাজিরা দিতে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আসলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাকে দেখা গেলেও একেবারেই দেখা মিলছেনা দিপু ভূঁইয়ার। দিপু ভূঁইয়া স্থানীয় সরকারি দলের সঙ্গে আতাত করে ব্যস্ত রয়েছেন তার ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে।