সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নবাসীর মাঝে ব্যাপক প্রশংসায় ভাসছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহাম্মেদ। ইউনিয়নবাসী দাবি করছেন- যেখানে বিনা ভোটে কেউ চেযারম্যান হয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে সায়েম আহাম্মেদের আন্দোলনের ফলে আলীরটেক ইউনিয়নে ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে। যার পুরো অবদান সায়েম আহমেদের। বর্তমান চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর সায়েম আহাম্মেদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন সর্বপ্রথম।
এরপর সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন নির্বাচনের ঘোষণা দেন। কিন্তু কয়েক মাস পূর্বে যখন প্রভাবশালীদের ঘোষণায় আবারো মতি বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হয়ে যাচ্ছেন আলীরটেক ইউনিয়নে এমন প্রচারণা শুরু করেন তখন আড়ালেই ছিলেন জাকির হোসেন। কিন্তু সেখানে হাজার হাজার আলীরটেকবাসীকে নিয়ে আন্দোলন করেছেন সায়েম আহাম্মেদ। সায়েম আহামেদের এই সাহসিকতার জন্য আলীরটেক ইউনিয়নবাসী তার পক্ষ নিয়েছেন। নির্বাচনে সায়েম আহামেদের পক্ষে পুরোদমে মাঠে নামতে যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
১৩ অক্টোবর বুধবার দুপুরে চেয়ারম্যান পদে আলীরটেক ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ সমর্থিত প্রার্থী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গরীবের বন্ধু সায়েম আহমেদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। অনেকটা উৎসবমুখোর পরিবেশে তিনি মনোনযনপত্র দাখিল করেন। সায়েম আহাম্মেদের মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর স্থানীয় শত শত নেতাকর্মী এলাকায় এলাকায় ঘুরে ঘুরে সায়েমের সালাম পৌছে দিচ্ছেন।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে যাচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি। ভোটাভুটির এই লড়াইয়ে শুরু থেকেই জনপ্রিয়তার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহাম্মেদ। ভোটাভুটির এমন সুযোগ খুঁজতে নির্বাচনের মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেনও। যিনি আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর পাশে গত ৫ বছরেও ভোটের লড়াই কিংবা তাকে ভোটের মাঠে দেখা যায়নি।
গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতির নাম ঘোষণা করেছে। মতিকে নৌকা প্রতীক দেয়া হলেও আলীরটেক ইউনিয়নে এখনও তিনি জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পারেননি তিনি। তাকে নৌকা প্রতীক দেয়ায় শোকের ছায়া নেমেছে আলীরটেক ইউনিয়নে। নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর শোডাউন তো দুরের কথা হাতেগোনা কয়েকজন আনাড়ি ধাচের লোকজন নিয়ে আলীরটেক ইউনিয়নের কয়েকটি রাস্তা ও বাজার হেটে বেড়িয়েছেন মতি। কাউকে টানাটানি করেও তার সঙ্গে নিতে পারছেন না। কারন এবারও বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আশায় গত কয়েক বছর জনগণের দ্বারে কাছেও যায়নি মতি। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে মতিকে ভোটের লড়াইয়েই নামতে হচ্ছে। যেখানে মতির জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন না ইউনিয়নবাসী।
মতির অবস্থা যখন জনপ্রিয়তা শূণ্যের কোঠায় তখন জাকির হোসেন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। সূত্রে জানাগেছে, জাকির হোসেন মনে করেছিলেন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহাম্মেদ নির্বাচনে থাকছেন না। কিন্তু সায়েম আহাম্মেদও নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামতে যাচ্ছেন, ঠিক যেভাবে নির্বাচন ও সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে আলীরটেক ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। আলীরটেক ইউনিয়নের মানুষজনও সায়েম আহাম্মেদকে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামতে যাচ্ছেন। ১৫ অক্টোবার শুক্রবার থেকে পুরোদমে প্রচারণায় নামতে যাচ্ছেন সায়েম আহামেদকে নিয়ে আলীরটেক ইউনিয়নবাসী।
স্থানীয়রা জানান, গত বছর আলীরটেক ইউনিয়নে স্থানীয় এমপি একেএম সেলিম ওসমান এক মতবিনিময় সভা করে বর্তমান চেয়ারম্যান মতিউর রহমানকে তার সমর্থণ ঘোষণা করেন। ওই সভার পর আলীরটেক ইউনিয়নে প্র্রচার করা হয় মতিউর রহমান মতি গত নির্বাচনের মতই এবারও বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছেন। এমন খবরে আলীরটেক ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহাম্মেদকে নিয়ে নির্বাচন ও সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে আন্দোলনে নামেন।
দীর্ঘ কয়েক মাস কয়েক দফা এই দাবিতে আন্দোলন করেন আলীরটেক ইউনিয়নের মানুষ। ওই সময় থেকে সায়েম আহাম্মেদকেই একমাত্র চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ্য মনে করে তাকে চেয়ারম্যান বানানোর স্বপ্ন দেখে আসছেন পুরো ইউনিয়নের জনগণ। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে জাকির হোসেনকে দেখাও যায়নি। নির্বাচন করবেন এমনটা বলারও সাহস দেখায়নি জাকির হোসেন। অথচ সায়েম আহাম্মেদ ঝুঁকি নিয়ে ইউনিয়নবাসীর ভোটের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন করে গেছেন। যে কারনে ইউনিয়নবাসী মনে করছেন, যে সায়েম আহমেদের আন্দোলনের ফলে ইউনিয়নবাসী চেয়ারম্যান পদে ভোট দিতে যাচ্ছে, সেই সায়েম আহাম্মেদের পক্ষেই থাকবেন ইউনিয়নবাসী। মতির দিক থেকে অনেক আগেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ইউনিয়নের মানুষ। এখন সুযোগসন্ধানী জাকির হোসেনকে নিয়ে ইউনিয়নবাসীর আগ্রহ আগের মত নাই। ফলে জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে শক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নামতে যাচ্ছেন সায়েম।