সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে এখন নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচনী আমেজে জমজমাট পুরো নারায়ণগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর এবং রূপগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়নে আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। আর এ নির্বাচনকে ঘিরে জমজমাট নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গন। যদিও দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। আর তাই নির্বাচনী আমেজে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ৫টি ইউনিয়নে মধ্যে চারটিতেই একক প্রার্থী থাকায় গত নির্বাচনেও ভোট হয়নি। তবে এবার আর সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে না বলে মনে করছেন সকলে। এবার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই একাধিক প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাই এবার জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষা করছে সদরবাসী।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল। সেবার একাধিক প্রার্থী নির্বাচনের রেসে থাকলেও পরবর্তীতে সবাই সরে দাঁড়ান। ফলে একক প্রার্থী হিসেবে সাইফুল্লাহ বাদল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। এবারও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ বাদল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোমেন সিকদার নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালালেও শেষ মুহূর্তে তিনিও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে কাশীপুরের সাধারণ জনসাধারণের অনুরোধে এবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ৭ নং ওয়ার্ডের অধিবাসী সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম। গত বুধবার তিনি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ফলে এবার আর বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগ থাকছে না এম সাইফুল্লাহ বাদলের সামনে। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নির্বাচন হতে যাচ্ছে কাশীপুরে।
বয়সে তরুণ রাশেদ ইতিমধ্যেই কাশীপুরবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন। সাধারণ ভোটারদের মনে নতুন স্বপ্ন দেখাতে পেরেছেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা কাশিপুর মানুষ ভোট দিতে চেয়েছিলো। তাদের সেই ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন সাংবাদিক রাসেদ।
আচরণবিধির বাধ্যবাধকতা থাকায় বর্তমানে গণসংযোগ থেকে বিরত রয়েছেন রাশেদ। তবে খুব শীঘ্রই তিনি জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি কাশিপুরবাসীর দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন। সেই সাথে সকল ভয় ডর আর রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর। এছাড়া মনোনয়নপত্র বাছাই ২১ অক্টোবর, বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ও ২৫ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।