সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উদযাপন দোয়া ও কেককাটা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
১৮ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় বন্দর র্যালী আবাসিক এলাকা সংলগ্ন জাকির শাহ হোসিয়ারী মার্কেটস্থ নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা ও ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী খান মাসুদের উদ্যোগে কেক কেটে তার জন্মদিন পালন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা খান মাসুদের সভাপতিত্বে কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুমায়ুন কবির মৃধা বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন ঘাতকের বুলেট থেকে রক্ষা পায়নি ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলও। বাঁচার জন্য শেখ রাসেল বারবার আকুতি করেছিল আমাকে মেরোনা আমাকে মেরোনা। কিন্তু ঘাতকদের মন তাতেও গলেনি মুহূর্তেই বুলেটের আঘাতে ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলের বুক ঝাঝরা করে দেয়। আমি শেখ রাসেলের জন্মদিনে তাঁর রূহের মাগফেরাত কামনা করছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কাউন্সিলর প্রার্থী খান মাসুদ বলেন, ৭৫ এর সে নরপিচাশরা ছোট্ট সে শেখ রাসেলকে বাঁচতে দেয়নি। জিয়ার দোসরদের বুলেটের আঘাতে অনেক আকুতি করেও রেহায় পায়নি শেখ রাসেল। তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি ছিলেন। আজকে বেঁচে থাকলে তিনি এদেশের আরো এক মহানায়ক হতেন। খান মাসুদ আরো বলেন,
যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে তারা নিজে না খেয়ে মানুষকে খাওয়ায়,নিজেরা না পরে মানুষকে পড়ায়। আমরা সেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। বন্দরে আমাদের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মনে খুব কষ্ট। কারণ দলের দুঃসময়ে যে ক্লাব থেকে চারদলীয় জোটে সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের ডাকা প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি। দলের সেই দুর্দিনে এই ক্লাবে বসেই দলকে সুসংগঠিত করেছি। দুঃখের বিষয় আজ সরকার ক্ষমতায় অথচ আমাদের সেই শেখ রাসেক স্মৃতি সংসদ নামের ক্লাবটি আর নেই। নামধারী এক যুবলীগ নেতা সেই শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদটি নিজ দখলে নিয়ে এখন চায়ের দোকান বানিয়ে প্রতিনিয়ত ভাড়া খাচ্ছে। শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ সরকারি জায়গায় ছিল তার সাথে প্রেসক্লাব কিন্তু প্রেসক্লাবের যায়গায় ঠিকই আছে কিন্তু আমাদের শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদকে চায়ের দোকান। আপনাদের কাছে দাবী এই ক্লাব আওয়ামীলীগের আপনারা এ ক্লাব উদ্ধারের জন্য কাজ করবেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের আহ্বায়ক মো. মাসুম আহমেদ, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা ডালিম হায়দার, শেখ মুমিন, আরিফুল ইসলাম হিরা, বাবু মোল্লা, আজিজুল হক আজিজ, বন্দর থানা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের সদস্য রাজু আহমেদ ও আকিব হাসান রাজু, আরিফুল ইসলাম অপু, নাছির প্রমূখ।