সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা যুবদল, গোপালদী পৌর যুবদল ও আড়াইহাজার পৌর যুবদলের আংশিক কমিটি গঠনের বিষয়টি কেন্দ্রীয় যুবদল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করে। মুলত জেলা যুবদলের কাছ থেকে খসড়া কমিটি গ্রহণ করে সেই কমিটি যাচাই বাছাই করে আংশিক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় যুবদলের ঢাকা বিভাগীয় টিম।
গত ১৩ অক্টোবর বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়-যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পরিচালনায় কেন্দ্রীয় ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের প্রধান জাকির হোসেন নান্নুসহ সকলের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল আড়াইহাজার উপজেলা, আড়াইহাজার পৌরসভা ও গোপালদী পৌরসভা তিনটি যুবদলের ইউনিটে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।
কবির হোসেনকে আহ্বায়ক ও খোরশেদ আলম ভূঁইয়াকে সদস্য সচিব করে আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। আড়াইহাজার পৌরসভার আহ্বায়ক মাহমুদুল্লাহ লিটন, সদস্য সচিব আল আমিন ভূঁইয়া ও গোপালদী পৌরসভা আহ্বায়ক আজিজুল হক, সদস্য সচিব আব্দুল কাদের মোল্লাকে ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু এদিকে ওই তিনটি ইউনিট কমিটির খসড়া কেন্দ্রে জমা দেয়া জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন স্বাক্ষরিত কাগজটি ১৮ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করে দেয় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন।
যদিও ভিন্ন সূত্রে জানাগেছে- সুমনের কাছ থেকে টিটু ও খোকন বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করেছিলেন। শর্ত ছিল সুমনের অনুগামীদের দিয়ে যুবদলের কমিটি তারা ঘোষণা দিবেন। ঠিক সুমনের দেয়া কমিটিই কেন্দ্রে জমা দেয় টিটু ও খোকন। কেন্দ্রে কমিটি জমা দেয়ার আগেই সেই কমিটি সুমনের কাছে সরবরাহ করে দেয় জেলার শীর্ষ দুই নেতা। মুলত সুমনকে বিশ্বাস করানোর জন্য কমিটির খসড়াগুলো টিটু ও খোকন সরবরাহ করেন।
অন্যদিকে কেন্দ্র থেকে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের বলয়ের লোকজনদের হাতে কমিটি তুলে দেয়া হয়। এতে হতাশ হয়ে পড়েন সুমন অনুগামী যুবদলের নেতাকর্মীরা। টিটু ও খোকনকে বিশেষ সুবিধা দিয়েও যখন সুমনের লোকজন কমিটি পায়নি তখন ওই কেন্দ্রে জমা দেয়া কমিটির খসড়াটি ফেসবুকে প্রকাশ করে দেয় সুমন অনুগামীরা। এমন ঘটনায় কেন্দ্রীয় যুবদল জেলা কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারিকে তলব করেছে।
১৮ অক্টোবর সোমবার সান নারায়ণগঞ্জকে অনেকেই জানান জেলা যুবদলের সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন সাক্ষরিত তিনটি কমিটির কাগজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দেয় সুমন অনুগামীরা। যেসব কমিটিতে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের কারখানার কর্মচারী জহিরুল ইসলাম জহিরকে আহ্বায়ক ও করিব হোসেনকে সদস্য সচিব করে ৩৬ সদস্যের এই কমিটি ঘোষণা হয় যেখানে ১৭ জন যুগ্ম আহ্বায়ক রাখা হয়েছে।
কমিটির গণমাধ্যমে জেলা যুবদলের সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু বলেন, এক সময় জেলা যুবদল থেকে সরাসরি উপজেলা এবং পৌরসভার কমিটি ঘোষণা করা হতো। উপজেলা কমিটি ইউনিয়ন কমিটি দিতো আর ইউনিয়ন কমিটি দিতো ওয়ার্ড কমিটি। এভাবেই ছিলো চেইন অব কমান্ড কিন্তু বর্তমানে কমিটি ঘোষণার দায়িত্ব হচ্ছে বিভাগীয় টিমের। আমরা একটা প্রস্তাবিত কমিটি কেন্দ্রে জমা দেই। কেন্দ্র যেটা ভালো মনে করে সেটাই ঘোষণা করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমিটির যে কাগজটি ভাইরাল হয়েছে সেটা আমরা কেন্দ্রে জমা দিয়েছিলাম। এই কাগজ আমরা নিজেরাও কোন ফটোকপি করে রাখি নাই, একটাই কপি কেন্দ্রে জমা দিয়ে দিয়েছি। বাইরের কারো কাছে এই কমিটির কোনো কাগজ আমরা দেই নাই। যদি এই কমিটির কাগজ বাইরে এসে থাকে তার দায়-দায়িত্ব কেন্দ্রের।
যুবদল সভাপতি টিটু আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সাংগঠনিকভাবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমাদের এই সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারাই যেকোনোভাবে কেন্দ্র থেকে এই কাগজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে বিতর্কিত করতে চাইছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।