সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম ও ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ চেয়েছিলেন বিনা ভোটে পূনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে। এ লক্ষ্যে জেলার প্রভাবশালীদের দোষামাদী করে তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করে আসছেন তারা। এমন আশায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোনো ধরণের যোগাযোগ রক্ষা করেনি। ফলে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন নৌকা প্রতীকের এই দুই প্রার্থী।
স্থানীয়দের দাবি- এই দুটি ইউনিয়নে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলে এই চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জয়ের কোনো সম্ভাবনাই নেই। এমনটা আচ করতে পেরে তাদের প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের জোর করে বসিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন তারা। বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হতে এবারও জেলার প্রভাবশালীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। গাজী সালাম ও মাসুম বেশকটি অনুষ্ঠানে ভোট প্র্রার্থনা করার চেয়ে তাদের প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন বেশি। তাদেরকে বিদ্রোহী প্রার্থী দাবি করছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- গত নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় আওযামীলীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের দ্বারে কাছেও যায়নি সালাম ও মাসুম। পদে পদে হয়রানির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। চেয়ারম্যান সালাম ও মাসুম নিজেদের আখের গোছানোর কাজটি ঠিকঠাক মত করলেও জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা রাখেননি। ফলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় ভোটাররা চরম ক্ষুদ্ধ।
এ কারনে তাদের নিজস্ব নেই কোনো ভোট ব্যাংক, নেই নেতাকর্মীদের শক্তি, নেই সাধারণ মানুষের সমর্থন, নেই নিজস্ব কোনো শক্তি, শুধুমাত্র প্র্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়া ছাড়া আর কিছুই তাদের অনুকুলে নেই এবার। সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গাজী সালাম ও মাসুম এখন তাকিয়ে আছেন প্রভাবশালীদের দিকে। প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত গাজী সালাম ও মাসুম তাদের প্র্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের জোর করে ভয় ভীতি হুমকি ধমকি দিয়ে বসিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যাবেন।
বন্দরের ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুম আহামেদ। কিন্তু এখানে স্বতন্ত্র শক্তিশালী প্র্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে রয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুল হক আজিজ। বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুম আহামেদের অবস্থা এখানে নড়বড়ে। সান নারায়ণগঞ্জকে ইউনিয়নবাসীর অনেকেই জানিয়েছেন- শেষতক আজিজুল হক আজিজ নির্বাচনে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলে সুষ্ঠু ভোট হলে মাসুমের জয়ের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আজিজুল হক আজিজের পিতা মরহুম আয়নাল হক ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার মৃত্যুর পরবর্তীতে নির্বাচনে আয়নাল হকের সম্মানে তার ছেলে কামাল হোসেনকে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করানো হয়। তাকে পরাজিত করে মাসুম আহম্মেদ নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। রাজনৈতিক নানা কারনে এবার আয়নাল হকের পরিবারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ইউনিয়নবাসী। যদিও মাসুমের অবস্থা এখানে খারাপ হওয়ায় আজিজকে বসানোর চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম। এখানেও নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে মদনপুর ইউনিয়নবাসী সালামের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ইউনিয়নে তেমন কোনো উন্নয়ন তিনি করেননি। এমনকি সাধারণ মানুষের দ্বারে কাছেও যাননি। নৌকা প্রতীক মনোনয়ন পাওয়ার পরেও নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা যায়নি। ফলে এখানেও সুষ্ঠু ভোট হলে সালামের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারন এখানে বেশ জনপ্রিয়তা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন শ্রমিকলীগ নেতা রুহুল আমিন শেখ। সালামের অবস্থান নড়বড়ে হওয়ায় এখানে রহুল আমিন শেখকে নির্বাচন থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে।