সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
রীতিমত তাক লাগিয়ে দিলেন মনিরুল আলম সেন্টু। যিনি এক সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। এর আগে থানা ছাত্রদলের সভাপতিও ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি হিসেবে প্রচার প্রচারণায়ও ছিলেন তিনি। সেই মনিরুল আলম সেন্টু সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয় পরিষদ নির্বাচনে এবার আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান থানা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি মনিরুল আলম সেন্টু। এ নিয়ে জেলা জুড়ে তুমুল সমালোচনা হলেও সেন্টুর মনোনয়ন বাতিল করেনি আওয়ামীলীগ। শেষতক তিনি নৌকা প্রতীক পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। যেখানে কোনো প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীই ছিলেন না।
এর আগে গত নির্বাচনে বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে দলীয় প্রতীক ধানের শীষের প্রার্থী দেন। ওই নির্বাচনে তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার মনিরুল আলম সেন্টুকে একাধিকার ডেকেও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী করাতে পারেনি। ওই নির্বাচনে সেন্টু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোহাম্মদ গোলাম রসূল। নির্বাচনে সেন্টু এতটাই দাপটশালী ছিলেন যে, নৌকা প্রতীকের প্রচারণায়ও বাধা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। নির্বাচনে নৌকা ডুুবিয়ে সেন্টুই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। এমনকি ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আকবর হোসেন তার মনোনয়নপত্রটিই দাখিল করতে পারেনি।
নির্বাচনের পর জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার মনিরুল আলম সেন্টুকে শোকজ করেন। একইভাবে কেন্দ্রীয়ভাবে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর বিরোধীতা করে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেন সেন্টু। সেই সেন্টুকে পরবর্তীতে বিএনপি বহিস্কার করেছিল। সেই সেন্টু এখন আওয়ামীলীগার। বিনা ভোটে নির্বাচিত হলেন চেয়ারম্যান।