সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
দীর্ঘদিন পর পুলিশি বাধাবিহীন নারায়ণগঞ্জে বিএনপির বিভিন্ন বলয়ের রাজপথে শোডাউন চোখে পড়লো। বিশেষ করে কোন ধরনের পুলিশি বাধা কিংবা বিএনপির খন্ড খন্ড শোডাউন দেখা গেলেও পুলিশের অস্তিত্বও তেমন একটা দেখা যায়নি। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসটি অনেকটা দেখা গেল বিএনপির রাজনৈতিক শোডাউনের দিবস। সরকারি দল আওয়ামীলীগের জেলা কমিটির নেতারা আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধা জানানোতেই সীমাবদ্ধ ছিল। মহানগর আওয়ামীলীগকে দেখা যায়নি। একমাত্র মহানগর ছাত্রলীগের শোডাউন দেখা গেলেও নারায়ণগঞ্জে মহান স্বাধীনতা দিবসটিতে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব দূর্বলই দেখা গেল। বিরোধী দল জাতীয়পার্টির দুজন এমপি নারায়ণগঞ্জে থাকলেও এদিনটিতে নারায়ণগঞ্জে জাতীয়পার্টির অস্তিত্বই দেখা গেল না।
জানাগেছে, ২৬ মার্চ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে ৬টি ভাগে শোডাউন করে মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামাল, জেলা যুবদল এবং জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে শোডাউন করে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনের সামনে বিভিন্ন এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হয়। সেখান থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল শোডাউন করে এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান তুলে শহরের প্রধান সড়ক হয়ে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তৈমূর আলম খন্দকার। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের শপথ পাঠ করান তৈমূর আলম। যে শপথটি ছিল, মহান স্বাধীনতা দিবসে আমাদের একটাই দাবি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আমরা কোন পদ পদবী চাইনা। কোন চেয়ার চাইনা। কোন ক্ষমতা চাইনা। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।’
অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর খন্দকার মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সুলতান মাহামুদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভুইয়া, আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন, শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, বিল্লাল হোসেন, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল প্রধান, জুয়েল রানা, আক্তার হোসেন খোকন শাহ, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা এমএম সাগর, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাসিরউদ্দীন, মহানগর শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন, শ্রমিকদল নেতা বিল্লাল হোসেন, লিটন মিয়া, শ্রমিকদল নেতা রবি মেম্বার, শ্রমিকদল নেতা তুষার আহমেদ মিঠু, ফতুল্লা কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি মইনুল হোসেন রতন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবু, মহানগর ছাত্রদল নেতা সাইদুর রহমান সহ উল্লেখ্যযোগ্য শতাধিক শীর্ষ নেতা এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন। যেখানে কয়েক হাজার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে এই শোডাউন করেন তৈমূর আলম খন্দকার।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হয়। সেখান থেকে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল র্যালীর মাধ্যমে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সাখাওয়াত হোসেন খান। সেখানে তিনি সংক্ষিপ্তে বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করছি। অন্যথায় এদেশের মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে, সরকারের অন্যায় অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসবে। আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাহআল্লাহ।’
াখাওয়াত হোসেন খানের এই শোডাউনে ছিলেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএইচ মামুন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দীন শিশির, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন মোল্লা, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি স্বপন চৌধুরী, পারভেজ মল্লিক, শহিদুল ইসলাম রিপন, শাহিন আহমেদ, জেলা যুবদল নেতা নেতা রোমান হোসেন, আমিনুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রতন, কাজী খোকন, সজীব খন্দকার,পাপ্পু আহমেদ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম বাবু, লিংকন খান, লিংরাজ খান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, ছাত্রদল নেতা মোজ্জামেল হোসেন, আল আমিন, আবদুর রশিদ, মোক্তার হোসেন সহ মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এই শোডাউনে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার এলাকা থেকে মহানগর বিএনপির ব্যানারে কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামাল। তাদের সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, আয়সা সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট রফিক আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মোল্লা, মহানগর শ্রমিক দলের নেতা মনির মল্লিক, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব আলী আজগর প্রমুখ।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে জেলা বিএনপির ব্যানারে মাত্র কয়েকশ নেতাকর্মীদের নিয়ে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ^াস, খন্দকার আবু জাফর, মনিরুল ইসলাম রবি, আবদুল হাই রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
এছাড়াও সকাল থেকে জেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা শহরের মিশনপাড়া এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন। সেখান থেকে জেলা বিএনপির ব্যানারে বিশাল শোডাউন করে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মাসুকুল ইসলাম রাজীব। চাষাড়া ফুল দিয়ে আবারও শোডাউন করে মিশনপাড়ায় গিয়ে শেষ হয় তার কর্মসূচি।
উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এসএম শৈবাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএস শাহ আলম ভূঁইয়া, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর জব্বা, শাহাজাদা আলম রতন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান রবিন, জেলা ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম লিংকন, সামাউল ইসলাম স্বর্ণা, মোঃ ওমর ফারুক শোভন, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জুয়েল রানা, সহ-সভাপতি নাজিম পারভেজ অন্তু, সহ সভাপতি মোঃ সুমন, জেলা ছাত্রদল নেতা মোঃ তপু ভূঁইয়া, রুবেল কিবরিয়া, জহিরুল ইসলাম রনি, মোঃ সুজন, রাজ মৃধা, শ্যামল মাহমুদ, মোঃ জুয়েল, সোনারগাঁও থানা ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, কাজী হিমেল, সাইফুল ইসলাম, তারেক মাহমুদ, পলাশ, বন্দর থানা ছাত্রদল নেতা মাসুদ রানা, রনি, সোহেল, রাব্বী, শাকিল, নয়ন, তোলারাম কলেজ ছাত্রদল নেতা মোঃ আজিজুল ইসলাম রাজিব, মোঃ মজিবুল ইসলাম ও মোঃ ফয়সাল সহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।