সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত ভূমিদস্যুতার অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য জয়নাল আবেদীন ওরফে আল জয়নালকে গ্রেপ্তার করেছে পুুলিশ। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েলের জমি দখলের মামলায় আল জয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ নগরীর টানবাজার এলাকা থেকে সদর মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ওই দখলের অভিযোগের মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ছিল। সেই পরোনায় বলেই গ্রেপ্তার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্র্রাপ্ত কর্মর্কা শাহজামান গণমাধ্যমকে জানান, আদালতের একটি গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মামলায় আল জয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানাগেছে, এর আগে ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল সকালে অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল তার বাড়ির দেয়াল মেরামত করতে গেলে বাধা দিয়েছিলেন জয়নাল আবেদীন ও বাহিনীর লোকজন। হাসান ফেরদৌস জুয়েলের জমির পাশের জায়গাগুলোও জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে জয়নাল আবেদীন।
এছাড়াও জয়নালের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জয়নাল আবেদীন কর্তৃক নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের জায়গা দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছিলেন কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে তৎকালীন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়ার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এছাড়া ফতুল্লায় কাতার প্রবাসীর স্ত্রীর জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে আল জয়নালের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। দখলকৃত জমি থেকে কাতার প্রবাসীর স্ত্রী সুরাইয়া বেগমকে উচ্ছেদ করতে নানা ধরনের হুমকি দেয়ার কারণে থানায় সাধারন ডায়েরী দায়ের করেছে। ফতুল্লার হরিহরপাড়া গুলশান রোড এলাকার আব্দুল ওহাবের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম বাদী হয়ে আল জয়নালের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছিলেন।
একটি চাঁদাবাজী মামলায় কারাভোগও করেন জয়নাল।
নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত জাতীয় পার্টি নেতা আল জয়নালের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানার একজন এএসআইকে গুলি করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় জয়নালকে থানায় আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের নভেম্বরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওই সময়কার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এ মঞ্জুর কাদেরকে টেলিফোনে পীর জাকির শাহ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। ওই সময়ে এ ঘটনায় প্রথম আলো সহ জাতীয় দৈনিকগুলোতে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, এ ঘটনায় ওসি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আরও জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে প্রথমবারের মত মামলা হয়। মামলায় ১১ জনকে আসামী করা হয়। সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ২০০৯ এর ৬(২)/১০/১৩ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংগঠন, গোপন ষড়যন্ত্র, অপরাধ সংঘঠেন পরস্পর সহযোগিতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে প্ররোচিত করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়।