সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
এবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণের অভিযোগে র্যাব, বিজিপি ও পুলিশের ধাওয়া খেয়েছে সোনারগাঁয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনর লোকজন। মুলত স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিতে গিয়ে ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার প্রশাসনের তোপের মুখে পালিয়ে যায় নৌকার সমর্থকেরা। এর আগে গত বুধবার পৌরসভার মুন্সীরাইল বাজার এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল হোসেন নৌকা প্রতীকের সমাবেশ পন্ড করে দেন। প্রশাসনের বেশ চাপের মুখে রয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন।
জানাগেছে, আগামী ৩১ মার্চ নির্বাচনের ভোট গ্রহণকে সামনে রেখে আচারণবিধি লঙ্ঘন করে অপর প্রার্থী কালামের সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেনের সমর্থকদের ধাওয়া দিয়েছে পুলিশ, র্যাব, ও বিজিবি। ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় নৌকার সমর্থকদের এই ধাওয়া দেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম তার ঘোড়া প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহফুজুর রহমান কালাম তার সমর্থকদের নিয়ে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নে গণসংযোগে যান। এসময় সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি মিছিল সনমান্দি রাস্তা দখল করে কালামের গণসংযোগে বাধার সৃষ্টি প্রস্তুতি নেয়।
সেখানে সনমান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তার লোকজন জড়ো করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌচ্ছে সনমান্দির বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে নৌকার সমর্থকদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অঞ্জন কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনটা কার প্রতীক, কে সরকারের লোক আর কে সরকারের লোক না, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয় আমরা তাই করবো।’
এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিদ্রোহী করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও মোশারফ হোসেন। মনোনয়ন বাছাইয়ে মোশারফ হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে সিংহ প্রতীকে নির্বাচনে লড়াইয়ে নামেন কায়সার হাসনাত। কিন্তু নির্বাচনের ৭২ ঘন্টা পূর্বে কায়সার হাসনাতের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তারপর নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তিনি। ওই নির্বাচনে খোকার পক্ষে কাজ করেছিলেন কালাম এবং মোশারফ হোসেন কাজ করেছিলেন কায়সার হাসনাতের পক্ষে।