সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর ও ফতুল্লা থানাধীন ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। যার মধ্যে ভোটের আগেই বিনা ভোটে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের ৫জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হন।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভোটে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ৩জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আরো ৩জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। একই সঙ্গে বাকি ৫টি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী নির্বাচিত হোন, যার মধ্যে দুটি ইউনিয়নে ভোটের আগের দিন ইসলামী আন্দোলনের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোটাভুটি থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে এখানে নৌকার একক প্রার্থী হিসেবে তারা নির্বাচিত হোন।
বন্দর উপজেলার বন্দর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী মোক্তার হোসেনকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন লাঙ্গলের প্রার্থী এহসান উদ্দিন আহমেদ। মদনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ রুহুল আমিনকে পরাজিত করে নৌকার প্রার্থী গাজী সালাম নির্বাচিত হোন। মুছাপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মজিবুর রহমানকে পরাজিত করে লাঙ্গলের প্রার্থী মাকসুদ হোসেন নির্বাচিত হোন। কলাগাছিয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী কাজিম উদ্দীনকে পরাজিত করে লাঙ্গলের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন প্রধান নির্বাচিত হোন। ধামগড়ে নৌকার প্রার্থী মাসুম আহমেদকে পরাজিত করে বিদ্রোহী প্রার্থী কামাল হোসেন নির্বাচিত হোন।
সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী সায়েম আহাম্মেদকে পরাজিত করে নৌকার প্রার্থী জাকির হোসেন, গোগনগরে নৌকার প্রার্থী জসিমউদদীনকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজর আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন।
ফতুল্লার এনায়েতনগর ও কাশিপুরে ইসলামী আন্দোলনের দুই প্রার্থি ভোটের আগের দিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। ফলে খালি মাঠে একা একা বিজয়ী হোন কাশিপুরের নৌকার প্রার্থী সাইফুল্লাহ বাদল ও এনায়েতনগরে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ।
ভোটের আগেই ফতুল্লার কতুবপুরে নৌকার প্রার্থী মনিরুল আলম সেন্টু, বক্তাবলীতে শওকত আলী, রূপগঞ্জের মুড়াপাড়ায় তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, গোলাকান্দাইলে কামরুল ইসলাম তুহিন, ভুলতায় আরিফুল হক ভুঁইয়া ও বিনা ভোটে নির্বাচিত হোন। ভোটাভুটিতে ভোলাবোতে নৌকার প্রার্থী তায়েবুর রহমানকে পরাজিত করে আলমগীর হোসেন টিটু ও কায়েতপাড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানকে পরাজিত করে নৌকার প্রার্থী জায়েদ আলী নির্বাচিত হোন।
নৌকার প্রার্থিদের পরাজয়ের বিষয়ে আওয়ামীলীগের অনেকে নেতা জেলার প্রভাবশালীদের ইঙ্গিত করে বলেছেন, তারা চাইলে নৌকা ভাসে, তারা চাইলে নৌকা ডুবায়।