সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাসির উদ্দীন ও তার লোকজন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রউফের নির্বাচনী ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুুর তান্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। যুবলীগ কর্মী জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি নাসির উদ্দীন নৌকা প্রতীকে মনোনিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। এবার লাঙ্গলের ক্যাম্প ভাংচুর চালিয়ে নতুন করে নির্বাচনে আতংক সৃষ্টি করেছে নাসির উদ্দীন। এর আগে নিয়মিত লাঙ্গলের পক্ষের লোকজনকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
১৭ নভেম্বর বুধবার বিকেলে শম্ভুপুুরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মুগারচর এলাকায় লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে নৌকার প্রার্থী নাসির উদ্দীন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালিয়ে ক্যাম্প ভাংচুুর করেছে বলে জাতীয় পার্টি অভিযোগ করেছে। ক্যাম্পে থাকা লোকজনদের মারধরও করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। তবে এ বিষয়ে নাসির উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান- ২০১৫ সালে মেঘনা নদীর বালু মহালের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরবর্তী চরহোগলা গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগেরই কয়েকজন নেতার বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ও দোকানপাট ভাংচুর চালায়। প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত এবং আরও তিনজন নিখোঁজ সহ ২৫ জন আহত হয়েছিলেন।
আওয়ামীলীগ নেতা নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে জানে আলম, খোকন মিয়া, মোসলেম মিয়া, সোহেল মিয়াসহ ৪০/৫০ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী পিস্তল, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, শাবলসহ দেশীয় অস্ত্রেসজ্জিত হয়ে যুবলীগ নেতা হারুন অর রশিদের সমর্থকদের উপর গুলি চালায়। যুবলীগ কর্মী জামাল হোসেন, সুমন মিয়া, আলমগীর হোসেন, ও সাইফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই যুবলীগ কর্মী জামাল হোসেন মারা যান। নিহত জামাল হোসেন চরহোগলা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।