সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২১ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী সড়ক দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের স্মরণে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আনন্দধামের উদ্যোগে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে “আইন প্রয়োগে শিথিলতা ও অসততা নিরাপদ সড়কের প্রধান অন্তরায়’’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমুর সভাপতিত্বে নারায়ণগঞ্জ নগরীর একটি চাইনিজ রেস্তোরায় অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তারা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এর প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় গণসচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভার সভাপতি হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বলেন, ২০২০ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, শুধু বংলাদেশেই সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজার ৪৩১ জন নিহত এবং সাত হাজার ৩৭৯ জন আহত হয়েছেন। নিহত পাঁচ হাজার ৪৩১ জনের মধ্যে ৮৭১ জন নারী ও ৬৪৯ জন শিশু। তাহলেই বুঝাই যাচ্ছে পরিস্থিতি কত ভয়াবহ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমার কাছে মনে হয়, আইন প্রয়োগে শৈথিল্য ও অসততা সড়ক দুর্ঘটনায় মুখ্য কারন। উপযুক্তভাবে যদি ড্রাইভার প্রশিক্ষিত হতো ও সড়ক গুলুতে যদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সততার সহিত সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে বাধ্য করতে তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতো তাহলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে আসতো।
আনন্দধামের মহাসচিব আবদুল মান্নান মিয়ার সঞ্চালনায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম, আজিজুল ইসলাম বাবু, যুগ্ম মহাসচিব বিশ্বজিৎ সাহা, অ্যাডভোকেট শেখ মোঃ জসিম উদ্দিন ও মোতালেব সানি।
এ-সময় আনন্দধামের কর্মকর্তাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- এনামুল হক প্রিন্স, মাকসুদুর রহমান হিটু, আবদুর রহমান বাচ্চু, বাহাউদ্দীন শাহ, বিপ্লব ঘোষ, মোঃ অভি, জাহাঙ্গীর ডালিম, লক্ষ্মী সরকার প্রমুখ।
মহাসচিব আবদুল মান্নান মিয়া দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন আনন্দধাম সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নাগরিক সচেনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাবে।
সভায় বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের স্মরনে নিরবতা পালন করা হয় ও সাধ্যানুযায়ী তাদের পরিবারের পাশে থাকার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়।