সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে তা একটি মিথ্যা সাজানো মামলা। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। দেশকে রাজনীতি শূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে এই সাজা প্রদান করা হয়েছে। সরকার গায়ের জোরে প্রশাসনেরকে ব্যবহার করে আইন বহির্ভূতভাবে এই সাজা দিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২২ নভেম্বর সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনের বঙ্গবন্ধু সড়কে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই অবৈধ সরকার বর্তমানে আদালত থেকে শুরু করে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করেছে। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিএনপি প্রত্যাখ্যান করার পরেও আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে হত্যা মারামারি সংঘটিত করছে। এ থেকে প্রমাণ হয় এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তাই এই অথর্ব নির্বাচন কমিশনের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।
সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী। তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার আদায় করার জন্য। অথচ আজ তার নিজের মৌলিক অধিকার হরণ করে নেয়া হয়েছে। তিনি অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন কিন্তু তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার। আমাদের নেত্রী আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়াকে বিনাচিকিৎসায় তিলে তিলে মেরে ফেলতে চাইছে এই জালিম সরকার। আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে দেশে গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। আর এই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটবে দেশের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই অবৈধ সরকারকে টেনে-হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। সেই আন্দোলন সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, মনির হোসেন খান, মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব গুলজার হোসেন খান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক গোলাম মোস্তফা, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সারের প্রধান, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতন, বন্দর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শাহিন আহমেদ, মহানগর তাঁতী দলের আহ্বায়ক মীর আলমগীর সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, যুবদল নেতা সম্রাট হাসান সুজন, লিংকন খান, ফখরুল হাসান, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দোলন, সদর থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাহিদুল হক সাদ্দামসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।