সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল ভুঁইয়া মাকসুদের বৃদ্ধ পিতাকে আটক করে জিম্মি করে রাখা এবং লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু।
২৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক নিন্দা ও প্রতিবাদ বিবৃতিতে কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু বলেন, জামপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি’র মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল ভুঁইয়া মাকসুদের বৃদ্ধ পিতাকে জিম্মি করার ঘটনা আমার জানামাতে সোনারগাঁয়ের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা। অতীতের কোনো রাজনীতি কিংবা নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর বৃদ্ধ পিতাকে জিম্মি করার ঘটনা সোনারগাঁয়ে ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। ৭০ উর্ধ্ব বয়স্ক বৃদ্ধ পিতাকে জিম্মি করার ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। আমরা মর্মাহত হয়েছি। এছাড়াও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা প্রশাসনের নিরপেক্ষভাবে কঠোর হস্তক্ষেপ আশা করছি। আপনারা সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন।
একই সঙ্গে বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসীদের বলতে চাই জনপ্রিয় হতে চাইলে জনসেবা করুন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে লাভ হবে না। আগামী ২৮ নভেম্বর জনগণ ভোটের মাধ্যমে উচিৎ জবাব দিয়ে দিবেন।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ২৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল ভুঁইয়া মাকসুদের বৃদ্ধ পিতাকে জিম্মি করে রেখেছিল আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির ভুঁইয়ার সন্ত্রাসী বাহিনী। একই সময়ে জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সরকারবিরোধী নাশকতার একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী গোলজার হোসেনের নেতৃত্বে লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির সন্ত্রাসীদের নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের আহত ও প্রার্থীর গাড়ি ভাংচুর চালায়। এই ঘটনা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি প্রার্থীর বৃদ্ধ পিতাকে বিপুল সংখ্যক পুুলিশ ও ডিবি পুুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার জামপুর ইউনিয়নের একটি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় ভোট চাইতে যান লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুলের বৃদ্ধ পিতা। ওই সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধ পিতাকে আটক করে একটি দোকানে জিম্মি করে রাখে। একই সময় অন্যদিকে জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় প্রচারণায় থাকা আশরাফুলের প্রচারণায় বাধা দিয়ে বিএনপি নেতা গোলজার হোসেন বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ওই সময় আশরাফুলের গাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। আশরাফুলের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের বেদম মারধর করা হয়। অবস্থার বেগতিক দেখে আশরাফুল প্রাণ বাঁচাতে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন।