সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে উপজেলার চরাঞ্চল চরহোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে নদী পথে ট্রলারযোগে নির্বাচনী সরঞ্জামসহ ফেরার পথে ঝড়ের কবলে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৩জন নিখোঁজ হন। ১ এপ্রিল সোমবার সকালে রিতা আক্তার নামের এক নারী আনসার সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত রবিবার নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ২২জন নির্বাচন পরিচালনা সদস্য নিয়ে মেঘনা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের বহনকারী ট্টলারটি। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুইজন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শম্ভূপুরা ইউনিয়নের চরাঞ্চল মেঘনা নদী বেষ্টিত চরকিশোরগঞ্জ-চরহোগলা এলাকার চরহোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ ও ভোট গণনা শেষে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বহনকারী একটি ট্রলার সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদে ফিরছিলেন। ট্রলারটি মেঘনা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে আসলে হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
এসময় পুলিশ সদস্য নুরুল ইসলাম (নায়েক), কনস্টেবল আরিফ, ওয়াকিল ইসলাম (পিসি), মাদ্রাসা শিক্ষক রুহুল আমিন, আনসার সদস্য ফরিদ, তাহের, হিমেল, রসিদ, মানিক মিয়া, আবু, দেলোয়ার হোসেন, খাদিজা বেগম, আকলিমা, রাজিয়া, ট্রলারের মাঝি শাহ পরানসহ প্রায় ১৭ জন সাঁতরিয়ে নদীর তীরে উঠে। কিন্তু ওই ট্রলারে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার বোরহান উদ্দীন, নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পিএসআই সেলিম মিয়া ও নারী আনসার সদস্য রিতা নিখোঁজ হন। রাতেই পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা চালালেও তাদের পাওয়া যায়নি।
পরে সোমবার সকালে চরহোগলা এলাকায় মেঘনা নদীর পূর্বপাড়ে আনসার সদস্য রিতার মরদেহ ভেসে উঠলে পুলিশ তা উদ্ধার করে। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার বোরহান উদ্দীন ও নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পিএসআই সেলিম মিয়া। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ, ডুবুরিদল ও স্থানীয়রা।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। নিখোঁজদের উদ্ধারের ব্যাপারে তিনিসহ স্থানীয় প্রশাসনের সবাই কাজ করছেন।