সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে এবার পরিবর্তন চায় ওয়ার্ডবাসী। এখানকার বর্তমান কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকুর প্রতি চরম ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। একই সঙ্গে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও সরকারি দলের হয়ে কাজ করার কারণে বিএনপি নেতাকর্মী সমর্থকরাও তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে এলাকাবাসী বলছেন, এলাকাবাসীর একটাই স্লোগান এবার পরিবর্তন চাই। সেই পরিবর্তনের লক্ষ্যে এবার ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন অপর দুই কাউন্সিলর প্রার্থী নাঈম হোসেন মিশাল ও সেলিম খান।
স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন ২০১১ সালে এবং ২০১৬ সালের এই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু। এর আগেও তিনি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থেকে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এখানে দীর্ঘদিন তিনি দায়িত্ব পালন করাকালে তার নানা কর্মকাণ্ড এবং নানা কারণে তার প্রতি চরম নাখোশ ওয়ার্ডবাসী। একই সঙ্গে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির হয়ে কাজ করছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে এখানকার বিএনপি’র বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরাও দাবি তুলেছেন, এখানে পরিবর্তনের প্রয়োজন। কেউ কেউ বলছেন, এখানে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যেই বিকল্প কাউন্সিলর প্রার্থীদের দিকে ঝুঁকছেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি এই ওয়ার্ডের একটি বিলাসবহুল বহুতল ভবনের ছাদ থেকে শাবল পড়ে এক পথচারী নারীর মৃত্যুর ঘটনায় কাউন্সিলর শকুর অবহেলা রয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মনিটর করা প্রয়োজন সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে এবার নির্বাচনী মাঠে পুরোদস্তুর পুরোদমে ভোট প্রার্থনায় নেমেছেন নাঈম হোসেন মিশাল ও সেলিম খান।
জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে লাঠিম প্রতীক নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে নাঈম হোসেন মিশাল ও ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে সেলিম খান নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। ইতিমধ্যে মিশাল ও সেলিম খান এলাকায় প্রচার প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।