সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন মাহমুদ দুলাল প্রধান গত দুই বছর পূর্বে মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এবারও দুলাল প্রধান কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। একইভাবে গত নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে পরাজিত প্রার্থী আবুল কাওসার আশাও নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। গত নির্বাচনে আশা দাবি করেছিলেন তিনি ভোটের মাধ্যমে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু তাকে পরাজিত করানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ভোট গণনার জন্য আশা আদালতে মামলাও করেছিলেন। তবে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই মামলার কোন কূল কিনারা হয়নি। মাদক মামলায় আসামি ও মাদকসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর এলাকায় নানা বিতর্কে রয়েছেন দুলাল প্রধান। তার আশেপাশের লোকজনের বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও জড়িত থাকার অভিযোগ এলাকাবাসীর। ইতিমধ্যে নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কা করে দুলাল প্রধান দুই হাতে খরচা করছেন বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে আশাকে বিজয়ী করতে মাঠে নেমেছেন তার পিতা বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম এবং তার চাচা উপজেলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল। তবে সব মিলিয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষ মনে করছেন- দুজনের মধ্যেই নির্বাচনী লড়াই হবে। সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে অনেকেই বলেছেন, যদিও দুজনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই রয়েছে নানা বিতর্ক। নির্বাচনকে ঘিরে সেই বিষয়গুলোও চায়ের দোকানগুলোতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমালোচনা সরগরম হয়ে উঠেছে।
এছাড়াও আরেকজন কাউন্সিলর প্রার্থী থাকলেও আলোচনাতেই নেই তেমন একটা। ফলে বিতর্কিত দুই ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই জনগণকে বেছে নিতে হবে কাঙ্খিত কাউন্সিলরকে।
সুত্রে জানা গেছে, বর্তমান কাউন্সিলর সাইফ উদ্দিন মাহমুদ দুলাল প্রধান লাঠিম প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন এবং আবুল কাওসার আশা ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। অপর প্রার্থী মোহাম্মদ হান্নান ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। নিয়মিত উঠান বৈঠক করছেন।
তবে স্থানীয়রা জানান, এই নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা দেখছেন। নিয়মিত সন্ত্রাসীদের মহড়ায় অংশ দেখা যাচ্ছে। প্রকাশ্যে অনেকেই সাধারণ মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনায় মানুষকে হুমকি ধমকি দিয়ে ভোটারদের ভোট আদায়ের চেষ্টা করছেন।