সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছেন ব্যাডমিন্টন প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী কবির হোসেন। এখানে কাউন্সিলর পদে ৪জন প্রার্থী থাকলেও আলোচনা মূলত দুই প্রার্থীকে নিয়েই। যেখানে কবিে হোসেনের পেছনে লড়াইয়ে নেমেছেন ঘুড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী রিয়াদ হাসান। এই ওয়ার্ডের মূল আকর্ষণ হলো বর্তমান কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল রয়েছেন কবির হোসেনের সঙ্গে এবং এই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজী ওবায়দুল্লাহ রয়েছেন তার ভাতিজা রিয়াদ হাসানের পাশে। তাদের নির্বাচনী লড়াইয়ে নাজমুল আলম সজল এবং ওবায়দুল্লাহর বিষয়টি নির্বাচনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
তবে স্থানীয়রা জানান, কাউন্সিলর প্রার্থী রিয়াদ হাসান এর আগেও তার চাচা ওবায়দুল্লাহর সাথে বিরোধিতা করে নির্বাচন করেছিলেন। যে কারণে ভোটারদের মাঝে তাকে নিয়ে বিরূপ প্রভাব রয়েছে। বিষয়টি সাধারণ ভোটাররা গত নির্বাচনে ভালো চোখে দেখেনি। কেউ কেউ মনে করেন ভাতিজার কারণেই ওবায়দুল্লাহর এই ওয়ার্ডটি ছেড়ে দিতে হয়েছে।
অন্যদিকে একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী এবং দানবীর হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত কবির হোসেন। সারা বছরই কোনো না কোনো মাধ্যমে মানুষের পাশে থাকেন তিনি। একই সঙ্গে দেওভোগের ঐতিহ্যবাহী একটি পরিবার নাজমুল আলম সজল সেই পরিবারের সদস্য হয়ে কবির হোসেনের পাশে রয়েছেন। এই দিক থেকে রিয়াদ হাসান এর চেয়ে কবির হোসেনকে নির্বাচনী মাঠে এগিয়ে রাখছেন সাধারণ ভোটাররা। এছাড়া রিয়াদ হাসানকে জনগণের মাঝে নির্বাচন ছাড়া তেমন একটা দেখা যায়নি।
জানা গেছে, কাউন্সিলর পদে আরও রয়েছেন মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে সাইদুল ইসলাম এবং ঠেলাগাড়ি প্রতীকে মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু। সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে স্থানীয়রা বলেছেন- মাকিদ মোস্তাকিম শিপলুর জামানত টিকিয়ে রাখাটাই দায় হতে পারে এই নির্বাচনে। সাইদুল ইসলামের কিছু ভোট থাকলেও জয়ী হওয়ার মত প্রার্থী তিনিও নন। সেভাবে সাইদুল ইসলাম এবং শিপলু নির্বাচনী গণসংযোগ করেও নির্বাচনী মাঠে নেই। যার ফলে এলাকার মানুষ মনে করছেন কবির হোসেনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হতে পারে একমাত্র রিয়াদ হাসান।
এদিকে রিয়াদ হাসান ও তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে কবিরের ব্যাডমিন্টন প্রতীকের পোস্টার লাগানোর কাজে বাধা দিয়ে নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। রিয়াদ হাসানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে রিটার্নিং অফিসার এবং থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন কবির হোসেন। এই বিষয়টি এলাকার মানুষ ভালো চোখে দেখছেন না। ফলে কবিরের পাল্লা আরো বেশি দিনকে দিন ভারী হচ্ছে।
ইতিপূর্বে কয়েক হাজার মানুষকে নিয়ে বিশাল শোডাউনের পর কবির হোসেন এবার ঘরে ঘরে গিয়ে মা বোনদের বুঝিয়ে ভোট আদায়ের চেষ্টা করছেন। কবিরের সঙ্গে শুধু নাজমুল আলম সজলই নন, তার সঙ্গে দেওভোগের ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারও তার পাশে রয়েছে। যেখানে খান পরিবার অন্যতম সদস্য কবির খানকে কাউন্সিলর প্রার্থী কবির হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী শোডাউন দেখা গেল। এছাড়া দল-মত-নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন।