সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। যাদের মধ্যে ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল হোসেন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ফলে এবার খোরশেদের শক্ত ও মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জেলা যুবলীগ নেতা শাহ মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ ফয়েজকে মনে করছেন ওয়ার্ডবাসী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়াদে কাউন্সিলর পদে দায়িত্ব পালন করছেন খোরশেদ। এর আগেও তিনি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থাকাকালীন এই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর ছিলেন। দীর্ঘদিন কাউন্সিলর থাকাকালীন অবস্থায় এই ওয়ার্ডের প্রায় অধিকাংশ মানুষের সঙ্গে তার পরিচিতি রয়েছে। এবারের নির্বাচনে খোরশেদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রবিউল হোসেন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় খোরশেদের জয়ের সম্ভাবনা আরও প্রবল। যদিও হাল ছাড়ছেন না অপর কাউন্সিলর প্রার্থী ফয়েজ।
স্থানীয়রা আরো জানান, রবিউল হোসেন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমুর আলমের ছোট ভাই খোরশেদকে জয়ের সুযোগ দিতেই তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। এমন অভিযোগে মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। রবিউল হোসেন সরে গেলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ফয়েজের পক্ষ নিয়েছেন।
এখানে আরো চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী থাকলেও তাদের জয় নিয়ে ওয়ার্ডবাসীর মাঝে তেমন একটা আলোচনায় নেই। যদিও কেউ কেউ বলছেন, এসএম মোজাম্মেল হক মামুনও ভোটের মাঠে লড়াইয়ে নেমেছেন। এরি মাঝে খোরশেদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফয়েজকে মনে করছেন ওয়ার্ডবাসী।
স্থানীয়রা আরও মনে করছেন- করোনাকালে করোনায় আক্রান্ত ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তিদের লাশ দাফন করেছিলেন খোরশেদ। যে বিষয়টিকে মানবিকতা হিসেবে দেখছেন। এ কারনে খোরশেদের এই জয়ের সম্ভাবনা বেশি। যদিও এবারের নির্বাচনে ফয়েজ তার নির্বাচনী মাঠ চাঙ্গা করতে নানা কৌশল অবলম্বন করে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
জানা গেছে, এ নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে, শাহ মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ ফয়েজ রেডিও প্রতীক নিয়ে, জাহাঙ্গীর আলম লিটন ব্যাডমিন্টন প্রতীক নিয়ে, ছাত্রলীগ নেতা শায়েক রেজা এয়ারকন্ডিশনার (এসি) প্রতীক নিয়ে, এসএম মোজাম্মেল হক মামুন লাঠিম প্রতীক নিয়ে ও রবিন হোসেন ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। যদিও তাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি প্রচারণা রয়েছেন খোরশেদ ও ফয়েজ। অন্যান্য প্রার্থীরাও ভোটারদের কাছে ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।