সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নারায়ণগঞ্জের যেই পরিবারটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, সেই পরিবারের যোগ্য নেতৃত্বের ফলেই আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডগুলো সফলতার মুখ দেখছেন নারায়ণগঞ্জবাসী। নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রাজনীতিক পরিবার, ওসমান পরিবার যেমন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের ঝান্ডা ধরে আছেন, একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ওসমান পরিবারের নেতৃত্ব। এই নেতৃত্বের বাইরে গিয়ে স্বচ্ছ ও সুষম বন্টনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জবাসীর উন্নয়ন তেমন একটা সফলতার মুখ দেখবেন না বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি মহাজোট সরকারের শরিক দল জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের মানুষের ও নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন ওসমান পরিবার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঝান্ডা ধরে রাখায় এখানকার সরকারি দলের রাজনীতি যেমন রয়েছে শক্ত অবস্থানে, তেমনিভাবে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে তাদের কঠোর ভূমিকা রয়েছে। এই পরিবারের বাইরে যেমন নারায়ণগঞ্জে রাজনীতি চিন্তা যায় না, যার প্রমাণ মিলেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে।
এই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মেয়র পদে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার যিনি বিএনপি নেতা। কিন্তু পুরো নির্বাচনে আলোচনায় ছিলেন প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান ও তার বিশাল কর্মী বাহিনী। নির্বাচনের শুরুতে শামীম ওসমানের কর্মীরা নৌকার পক্ষে নিরব অবস্থান থাকায় মেয়র আইভীর নৌকাকে বিজয়ী করাটা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মান অভিমান ভুলে এবং হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নৌকার পক্ষে যখন শামীম ওসমানের কর্মী বাহিনী মাঠে নামেন তখন নৌকার বিজয় ত্বরান্বিত হয়।
নেতাকর্মীরা বলছেন, শামীম ওসমান বারবার প্রমাণ করেছেন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগকে শক্ত অবস্থানে ধরে রাখতে ওসমান পরিবারের বিকল্প কোন রাজনৈতিক পরিবারে এখনো হয়ে ওঠেনি। স্থানীয় নেতাকর্মীরা সান নারায়ণগঞ্জকে বলছের, নারায়ণগঞ্জ-৩ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো স্বচ্ছভাবে করে যাচ্ছেন। যেখানে তাকে সহযোগিতা করছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ বাদল, থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, জেলা পরিষদের সদস্য ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান সহ প্রতিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ।
একইভাবে নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর ও বন্দর) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই উন্নয়ন কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। একইসঙ্গে তিনি ব্যক্তিগতভাবে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা দান খয়রাত করে দানবীর হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। সেলিম ওসমানের এইসব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ ভূঁইয়া সহ অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এই সরকারের উন্নয়নগুলো মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন। তিনি উন্নয়ন ছাড়া কিছুই বোঝেন না। সোনারগাঁয়ের প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ঘুরে তিনি সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন, অতঃপর তিনি সেই সমস্যা সমাধানে কাজ করেন। ২০১৪ সালে তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সোনারগাঁয়ের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডগুলো পরিচালনা করে আসছেন। যদিও স্থানীয় রাজনৈতিক কারণে তিনি অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। সরকারের উন্নয়নগুলোতে এমপি খোকাকে সহযোগিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম সহ সোনারগাঁওয়ের অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। ফলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাপক ত্বরান্বিত হচ্ছে।
এইসব জনপ্রতিনিধিদের এমন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে সামনে থেকে ও পিছন থেকে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে সেই ওসমান পরিবারের যোগ্য নেতৃত্ব। যার ফলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো সুষম বন্টনের মাধ্যমে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলায় ছড়িয়ে যাচ্ছে।এ কারণেই স্থানীয়রা মনে করেন উন্নয়নে যোগ্য নেতৃত্ব ওসমান পরিবার। এই পরিবারের বিকল্প এখনো নারায়ণগঞ্জ জেলায় কোনো রাজনৈতিক পরিবারিক নেতৃত্ব তৈরি হয়নি।