সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ অমান্য করে ধলেশ্বরী নদী দখলের চেষ্টায় নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী ও তার বাহিনীর লোকজন। হাইকোর্ট স্থিতিবস্থা জারির আদেশ দিলেও নদীতে বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করে যাচ্ছেন ফজর আলী। এমনই অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর মৌজায় ধলেশ্বরী নদীর একটি অংশ জোরপূর্বক বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করছেন তিনি। এর আগে ধলেশ্বরী নদী দখলের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন সাহাবউদ্দীন সিকদার ও মাহাবুব নামের দুই ব্যক্তি। তারপরও থেমে নেই নদী দখল।
সর্বশেষ ৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট বালু ভরাটের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে ৬ মাসের আদেশ দেন। আদেশ দিলেও আদেশ অমান্য করে নদী দখল করে যাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর কদমতলী এলাকায় মোজাম্মেল হক সিকদারেে ছেলে শাহাবুদ্দিন শিকদার ও আব্দুল মালেকের ছেলে মাহাবুব রহমান এই রীট পিটিশন দায়ের করেন।
রীট পিটিশন দায়ের করে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা রনিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর রিটের একই বিষয়ে একটি লিখিত দেন মাহাবুব হোসেন। তিনি ওই আবেদনে উল্লেখ করেন-আইন বহির্ভূতভাবে অকৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত এবং হাইকোর্টের রিট নং ৩৫০৩/০৯ রায় ও সুপ্রিমকোর্টের (লিভ টু আপিল) নং ৩০৩৯/১৯ রায় এর নির্দেশনা অনুসরণ এবং বিগত ০৩/০৬/২১ইং তারিখে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন হতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে পত্রের প্রতিপালনের আলোকে সৈয়দপুর মৌজায় নদীর জমি বন্দোবস্ত বন্ধ করা হোক।
জানানো হয় দাবি করা হয়- সৈয়দপুর মৌজা সিএস ধলেশ্বরী-৬০১, এসএ-১০৪৪ ও ১০৩৮, আরএস- ১০০৪ ও ৯৯৮ নং দুটি দাগে ৫৮ শতাংশ জমি ধলেশ্বরীর অংশ হিসেবে বিদ্যমান যা উক্ত জমির কাগজপত্র থেকে যথার্থ স্পষ্ট। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান কর্মকর্তা কর্মকর্তার লোকজন নদী সংশ্লিষ্ট জমিতে গৃহহীন ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণ করে বন্দোবস্ত দেওয়ার লক্ষ্যে বিগত ২৯/০৪/২১তারিখে সাইনবোর্ড নির্ধারণ করে আসে যা হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং ৩৫০৩/২০০৯ এর নির্দেশনা অমান্য ও উক্ত রিট পিটিশনের নদী বলতে সিএস ম্যাপে উল্লেখিত যে স্থানে নদী প্রদর্শন করা হয়েছে সেই স্থানটিকে নদী বলে ধরে নিতে হবে যা বন্দোবস্ত দেওয়ার যোগ্য নয়।
এ বিষয়ে গত ৫ জানুয়ারি হাইকোটের বিচারপতি মাহাবুব রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলারুজ্জামানের বেঞ্চ ৬ মাসের জন্য রুল জারি স্থিতিবস্থার আদেশ দেন। যা ৯ জানুয়ারি আদেশের কপি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে প্রেরন করা হয়।
উচ্চ আদালত রুল জারি করে ৬ মাসের স্থিতিবস্থার আদেশ দিলেও গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী ও তার বাহিনীর রুবেল, রফিক, দেলোয়ার, আনসার, রবিন, মাহবুব সহ বিচ্ছুবাহিনীর লোকজন বালু ভরাট করে নদী দখল করে যাচ্ছেন।