সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বীমা কোম্পানীতে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। ওই প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ৩ এপ্রিল বুধবার বিকেলে র্যাব-১১ এর অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিমউদ্দীন চৌধুরী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়- ০২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগংরোড় এলাকায় হাজী রজব আলী সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৪ সক্রিয় সদস্যকে গেস্খপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, পিতা-ছমির উদ্দিন ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খান, পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ খান, মোঃ মাজিদুল ইসলাম, পিতা-মৃত আব্দুল হালিম মোল্লা এবং মোঃ আফছার উদ্দিন সেলিম, পিতা-মৃত তারা মিয়া।
র্যাব জানায়-গত প্রায় একবছর যাবৎ জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর নামের আড়ালে এই প্রতারক চক্র ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে বিভিন্ন পদে চাকুরীর বিজ্ঞাপন দিয়ে শতশত যুবক-যুবতী ও ছাত্র-ছাত্রীদের ফুল টাইম-পার্ট টাইম চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। এই প্রতারক চক্রটি ভূয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেশন ফি হিসেবে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫২০ টাকা করে টাকা নিত। পরে চাকুরীর নিশ্চয়তা ও বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে পলিসি খুলতে বাধ্য করত। ইউনিট ম্যানেজার, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, এ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার প্রভৃতি পদে ১৮ হাজার ৫’শ টাকা হতে ৫০, হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ইন্সুরেন্স খুলতে প্রলুব্দ করতো। চাকুরী পাওয়ার পর মাসের পর মাস অফিসে আসা যাওয়া করে বেতন না পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে অনেকে প্রদেয় টাকা ফেরত চাইলে তাদেরকে ভয় ভীতি, হুমকি এমনকি মারধরও করত।
র্যাব আরও জানায়, বেশ কয়েকজন ভূক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল চিটাগাংরোড এলাকায় হাজী রজব আলী সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোঃ মনিরুজ্জামান সহ লিয়াকত হোসেন রনি, মাজিদুল ইসলাম ও আফসার উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট হতে ভূয়া চাকুরীর বিজ্ঞাপন, ভূক্তভোগীদের নিকট হতে অর্থ আদায়ের রশিদ, চাকুরী প্রার্থীদের নিবন্ধন ফরম ও মোবাইল প্রভৃতি জব্দ করা হয়। প্রতারক চার বাকী সদস্যদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে।