দিদার খন্দকারের বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকা প্রতারণা মামলায় পরোয়ানা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার খন্দকারের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ আমলী আদালত ‘ক’ অঞ্চলে দায়ের করা ৫৮/২০২২নং মামলায় প্রতারণার অভিযোগ কয়েক দফা শুনানী শেষে আদালত দিদার খন্দকার ছাড়াও তার চাচা আজিজ খন্দকার, আবদুল কুদ্দুস খন্দকার ও নগরীর কলেজ রোড এলাকার আব্দুল আউয়ালের পুত্র আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

১২ জানুয়ারী আদালতে দায়ের করা প্রতারণা মামলার বাদী মতিউর রহমান সুমন উল্লেখ করেন, দিদার খন্দকার ও তার চাচার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১৫ দশমিক ৪২ শতাংশ জমির উপর বহুতল ভবন নির্মান করতে চুক্তিবব্ধ হন দিদার খন্দকার গং। চুক্তি মোতাবেক ১০তলা ভবন নির্মাণের পর ৬২ দশমিক ৫০% শেয়ারের মালিকানা মতিউর রহমান। আর বাকী ৩৭ দশমিক ৫০% শেয়ারের মারিকানা দিদার খন্দকার ও তার পরিবারের সদস্যরা । এই মোতাবেক ভবন নির্মাণের পর মতিউর রহমান সুমনের পারিবারিক ঝামেলার সুযোগ নিয়ে খন্দকার টাওয়ারের নাম করে দিদার খন্দকার ও তিন জন অংশিদার আজিজ খন্দকার, আবদুল কুদ্দুস খন্দকার ও আবুল হোসেন ফ্ল্যাট বিক্রি করছে কোন ধরণের আইনগত ভিত্তি ছাড়াই। পুরো ভবন দখল করে এমন কর্মকান্ড ছাড়াও জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রিও করছে । তাদের নামে হাউজিং কোম্পানীর কোন লাইসেন্স না থাকার পরও আবসিক প্লান পাশ করিয়ে বাণিজ্যিকভাবে জান্নাত কনভেনশন সেন্টারের ব্যবসা চালিয়েই যাচ্ছে কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই। এমন ঘটনা ছাড়াও ২ টি ফ্ল্যাট বিক্রি করে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মস্যাত করে উল্টো মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি দিয়ে মারধরের চেষ্টা করেন বলেও মতিউর রহমান সুমন জানান।

এ বিষয়ে দিদার খন্দকারের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।