প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বিস্তারিত জানালেন সোহাগ রনি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের টেন্ডার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকা মোগরাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী শাহ মো . সোহাগ রনি নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকার একটি সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন।

২৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় সোহাগ রনি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। পাঠকদের জন্য প্রতিবাদ বার্তার সম্পূর্ণ বক্তব্য টি তুলে ধরা হলো আমি হাজী শাহ মোঃসোহাগ রনি, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, সাবেক সহ- সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। আমাকে নিয়ে গত ২৪ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার আপনার যুগের চিন্তা পত্রিকার প্রথম পাতায় “যুবরাজের ছায়ায় মূর্তিমান আতঙ্ক সোহাগ রনি” এই শিরোনামে ও ও ২৫ /০২/২০২২ইং রোজ শুক্রবার” সোহাগ রনির হাতে আলাদিনের চেরাগ” দুইটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি সম্পুর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এলাকায় আমার শুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রতিবেদনটি করিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রতিবেদনে বলা হয় “রগ কাটা রনি থেকে হাজী শাহ মোঃ সোহাগ রনি” এই কথাটি সম্পুর্ণ ভুল ও মিথ্যা। আমার দাদা-দাদি, নানা-নানি , বাবা-মা, ছয় চাচা ও পাঁচ চাচি এবং ২০১৭ সালে আমার মা এর সাথে আমরা দুই ভাই সকলেই হজ করেছি। সেই দিন থেকে আমি নবীর সুন্নত ধারণ করেছি। আমরা একটি ধার্মিক পরিবার। আমি হলফ করে বলতে পারি, প্রশাসনিক তদন্ত ও জনসাধারণের সাক্ষীর ভিত্তিতে আমার নামে রগ কাটা ও হত্যা মামলার কোন রেকর্ড নাই।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করেছে , কিশোর গ্যাং তৈরী ও ২০০১ সালে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে দুই কেজি গাঁজা সহ আমাকে আটক হবার কথা বলা হয়েছে। অথচ আমি ১৯৮৯ সালে সোনারগাঁ থানার, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের, ফুলবাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করি। ২০০১ সালে আমার বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর, আমি তখন প্রাইমারী স্কুলে ৫ ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিলাম। আমি তখন একজন নাবালক শিশু ছিলাম। আমি ২০০৭ সালে পাশ করি। তখন বাংলাদেশে কিশোর গ্যাং এর অস্তিত্বই ছিলো না। আমি তখন এলাকায় খেলাধুলা নিয়ে ব্যাস্ত থাকতাম। আমি ব্যাডমিন্টন ও ক্রিকেটার হিসেবে এলাকায় খুব জনপ্রিয় ছিলাম। আমি এটাও হলফ করে বলতে পারি, বাংলাদেশ পুলিশ, সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও আমার এলাকায় আমার নামে মাদক নিয়ে কোন ধরণের অভিযোগ নেই। এছাড়াও বলা হয় আমার বিভিন্ন কাজে ভূমিদস্যুতা, মাদক, সন্ত্রাস আর জবর দখলের ন্যাক্কারজনক কাহিনী। আমি একজন ব্যবসায়ী মানুষ, আমি সব সময় সরকারকে ভ্যাট – ট্যাক্স দিয়ে সৎ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতেছি এবং আসন্ন নির্বাচনে আমি মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ার পূর্ব থেকে বর্তমান পর্যন্ত আমি সকল সামাজিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, ওয়াজ মাহফিল, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রাখার সময় মাদকের বিরুদ্ধে জোর দাবির মাধ্যমে প্রতিরোধ স্বরূপ বক্তব্য রেখে আসতেছি, এ সকল তথ্য প্রমাণ আমার ফেসবুক আইডিতে পাওয়া যাবে। এছাড়াও সাংবাদিক ভাইদের বিভিন্ন সংবাদ পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক, ইউটিউব) বিদ্যমান। অথচ কিছু মহল আমাকেই উদ্দেশ্য করে মাদক সম্পৃক্ততা নিয়ে কথা বলছে। যাহা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এছাড়াও বলা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক এর সাথে আমার গভীর সম্পর্ক আছে। কিন্তু গত ০৪/০৪ /২০২১ ইং সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে এই মামুনুল হক একজন নারীর সাথে অবৈধ ভাবে অবস্থান করায় আমি সরাসরি ঐখানে উপস্থিত হয়ে আমার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সর্বপ্রথম ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে প্রশাসন ও দেশবাসীকে অবগত করি এবং মামুনুল হককে প্রশাসন এর নিকট হস্তান্তর করি ।

আমার পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শাহ জামাল তোতা, তিনি ১৯৮০ সালে (এসএসসি ) পাশ করেন। সাবেক মেম্বার ১নং ওয়ার্ডের, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, তিনি ৩০ বছর ১ নং ওয়ার্ডে মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানেও জনসেবায় নিয়োজিত আছেন। ১৯৯২ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আমার বাবা সোনারগাঁ থানা আওয়ামী যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (মাহফুজ ও জামান কমিটি)। ২০০১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আমার বাবা সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী কৃষকলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন (“ ক ” তালিকা ভুক্ত)। অথচ তাহারা আমার বাবাকে ঘুবদল নেতা হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছে। যাহা কিনা সম্পুর্ণ ভুল, মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার দাদা মরহুম আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান দালাল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, ফুলবাড়িয়া জামে মসজিদ এর মুতয়াল্লী, সাবেক মেম্বার, বৃহত্তর ১,২,৩ নং ওয়ার্ড, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে আমার দাদা ও দাদির অনুপ্রেরণায় আমার দাদা, আমার বড় দুই চাচা বীরমুক্তিযোদ্ধা জনাব আলহাজ্ব শাহ আলম (সাবেক অফিসার, বাংলাদেশ পুলিশ) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজালাল রাজা এবং আমার বাবা সহ সবাই সক্রিয় ভাবে মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। আমার দুই চাচা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আমার বড় চাচা জনাব আলহাজ্ব শাহ মোঃ শাহজাহান সোনালী ব্যাংকের একজন ম্যানেজার ছিলেন ( সাবেক ব্যাংকার ) , আমার ছোট চাচা আলহাজ্ব শাহ নেওয়াজ ময়না, বিশিষ্ট শিল্পপতি। আমার আপন বড় মামা জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক গজারিয়া থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও বর্তমানে গজারিয়া থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেনএবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন তিন বার তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ।

বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবারের সকল সদস্য বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর রাজনৈতিক সকল কর্মকান্ডের সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত আছি এবং সৎ ও নিষ্ঠার সহিত সকল দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অথচ এইখানে আমাকে ও আমার পরিবারের স্যদের নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এই সকল মিথ্যা তথ্য – উপাত্তেরকোন রকম প্রশাসনিক ও অফিসিয়ালি প্রমানাদি নাই। এই মিথ্যা সংবাদের জন্যআমার পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।

তাই আমার প্রাণপ্রিয় সোনারগাঁ ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বাসীকে অবগত করতে চাই যে, ২৪/ ০২/২০১২ ইং তারিখে যুগের চিন্তা পত্রিকার প্রথম পাতায় আমাকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ছিলো। আমার ও আমার পরিবারের সম্পর্কে আপনাদের সঠিক তথ্যটি জানানোর জন্য আজকে এই প্রতিবাদ স্বরুপ সংবাদটি আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম।