সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ্য তার চিকিৎসার প্রয়োজন বলে দাবি করে আসছে বিএনপি। সেই দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে সারাদেশে দোয়া মাহফিল কর্মসূচি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বিএনপি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে সেই কর্মসূচিটিও পালন করেনি আন্দোলন সংগ্রামে বিমুখ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত তিন নেতা। এই তিন নেতার মধ্যে দুজনই গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন। একজন প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া। তিনি কখনই দলের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন না। কেন্দ্রীয়ভাবে লবিং করে বিশেষ সুবিধায় তিনি তার চাটুকার শ্রেণির কর্মীদের বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পদে বসিয়ে বড় বড় নেতা বানিয়েছেন। এটাই তার একমাত্র রাজনীতি। বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর একটি কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতেও ছিলেন না দিপু ভূঁইয়া। এবার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া মাহফিল কর্মসুচিটিও তিনি পালন করেননি।
একইভাবে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে চূড়ান্তভাবে দলের ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করেছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। তিনিও রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। ২০১৪ সালের আগে তিনি ফটোসেশন করেই আলোচনায় আসেন। কেন্দ্রীয় কোন কর্মসুচি তিনি নারায়ণগঞ্জে পালন করেন না। ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করলেও তিনি তার দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলটিও করেননি।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। দলের একাধিক পদ বহন করলেও তিনিও রাজপথ থেকে সরে গেছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি পদ ছাড়াও তিনি সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদও আকড়ে আছেন। ২০১৪ সালের আগে তাকে রাজপথে দেখা গেলেও তারপর থেকে তিনি মাঠের রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছেন। এবার বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি দোয়া মাহফিলটিও করেন মান্নান।