বিএনপির যাতাবস্থা: নেতাও মঞ্চে, কর্মীও মঞ্চে, কে কর্মী কে নেতা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি এক বিশৃঙ্খল সংগঠনে পরিনত হয়েছে। দলের মাঝে কোনো চেইন অব কমান্ড নেই। জেলা বিএনপির কার্যত কম জনসমর্থিত দুই নেতা যখন ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের পদে রয়েছেন তখন জেলা বিএনপির যে যাতাবস্থা তা ফুটে ওঠেছে কেন্দ্র ঘোষিত জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে। ২ মার্চ বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর কেন্দ্রীয় চাষাড়া শহীদ মিনারে দ্রব্য মুল্যের উর্ধগতির প্রতিবাদে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশের প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির চেয়ারপারসনের ‍উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বক্তব্য রাখার পূর্বে বারবার শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা করলেও উশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা কর্ণপাতই করতে চায়নি। শহীদ মিনার বেদীকে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হলেও মঞ্চের সিংহভাগ অংশজুড়ে দাঁড়িয়েছিলেন কর্মী পর্যায়ের লোকজন। এমনও বিএনপির কর্মীকে মঞ্চে দাঁড়াতে দেখা গেছে যার দলীয় কোনো পদ পদবীও নাই। মিডিয়া ক্যামেরার সামনে নিজেদের মুখ দেখাতে শীর্ষ নেতাদের পাশে দাঁড়ানোর লড়াইও দেখা গেছে রীতিমত। অনেক ধস্তাধস্তি ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে বেশকবার। মঞ্চে দাঁড়ানো নিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল কবির মামুন।

অথচ শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে দর্শক শ্রোতাদের সারিতে বহু সিনিয়র নেতা দাঁড়িয়ে মঞ্চের নেতাদের বক্তব্য শুনছিলেন। অনেক শীর্ষ নেতা মঞ্চের সামনেও যেতে পারেননি। মঞ্চের উপরে অনেক অখ্যাত অপরিচিত বিএনপির কর্মী সমর্থক মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের পেছনে ক্যামেরার সামনে মুখ দেখানোর লড়াইয়ে ধাক্কাধাক্কি করে দাড়িয়েছেন। প্রধান অতিথির পুর্বে প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ মঞ্চের শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা করেছেন। মুলত জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ জেলা বিএনপির নেতৃত্বে কতটা অযোগ্য সেটার প্রমান পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা।