সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি খালিদ হায়দার খান কাজলকে ইঙ্গিত করে নারায়ণগঞ্জ সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও নিহত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে এখনও স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের সেই শান্তি বাহিনীর উত্তরসূরীরা বীরদর্পে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেয়। তারা হুমকি দেয় বিভিন্ন প্রশাসনকে। তারা হুমকি দেয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের। তাদের মুখে স্বাধীনতার কথা শোনা যায়। এটা আমাদের কাছে খুবই লজ্জার। রাজাকারের উত্তরসূরীরা আজ স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে সামনে এগিয়ে আসতে চায়। পুলিশকে হুমকি স্বরুপ আল্টিমেটাম দেয়। স্বাধীনতার এত বছরেও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতা পাই নাই।
৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দরে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে বিনম্র শ্রদ্ধায় ৭১’র গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান উদ্বোধক হিসেবে এসব কথা বলেন রফিউর রাব্বী।
এখানে উল্লেখ্যযে, সম্প্রতি আলোচনায় চলে আসেন খালিদ হায়দার খান কাজল। যার বাবা শান্তি বাহিনীতে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি বইয়ে লেখা হয়। এদিকে এমপি শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদক বিক্রয়ে সহযোগী হিসেবে একটি মামলায় অভিযুক্ত করে পুলিশ। ওই ঘটনায় পুুলিশকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন কাজল। একই সঙ্গে গত বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা করা হয় যেখানে সভাপতিত্ব করেন কাজল।
অনুষ্ঠানে রাব্বী এর আগে বলেন, ৪ এপ্রিল গণহত্যা দিবস। এই দিনেই পাকসেনারা বন্দরে দুই দিক থেকে প্রবেশ করে সিরাজদৌল্লাহ ক্লাব মাঠে ৫৪ জনকে হাজির করে ব্রাশ ফায়ার করে পরে আশপাশের বাড়ী থেকে কাপর এনে গান পাউডার দিয়ে জ¦ালিয়ে গণহত্যা করে গণকবর দিয়েছিল। আজ সেই স্থানে দাড়িয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাসহ প্রতিজ্ঞা করতে চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন আমরা সেই বাংলাদেশ চাই।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার অধিকার আমরা পাই নাই। আমরা পশ্চিমাদের বিতারিত করেছি, আমরা মানচিত্র পেয়েছি, একটি ভূখন্ড পেয়েছি, আমরা জাতীয় সঙ্গীত গাইছি। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা কাকে বলে? যদি মানুষের বেচে থাকার নিরাপত্তা না থাকে। নিশ্চয়তা না থাকে। তাহলে তাকে স্বাধীনতা বলার কোন কারন নাই। সেজন্যই উচ্চারণ করতে হয় পূর্ণ স্বাধীনতা মিলল কই। এখনও আমাদের আতংকে দিন যাপন করতে হয়।
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, বাসদের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা তরিকুল সুজন, নারায়ণগঞ্জ সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, ওয়াকার্স পার্টি জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান, ন্যাপ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আওলাদ হোসেন, বন্দর গণহত্যা দিবস উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ ভূইয়া ননী, নাগরিক কমিটির বন্দর শাখার সাধারণ সম্পাদক একেএম শাহআলম প্রমূখ।