সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
সৎসঙ্গের প্রাণপুরুষ পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৪তম আবির্ভাব বর্ষ স্মরণ মহোৎসব উপলক্ষে নতুন পালপাড়া সৎসঙ্গ শ্রীমন্দিরে ১০ই মার্চ থেকে ১২ই মার্চ, তিন দিনব্যাপী মহতি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার আয়োজিত মহতি ধর্মসভায় সৎসঙ্গের সহ সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক দিলীপ দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রিয় সৎসঙ্গের সভাপতি বাগ্মীপ্রবর ব্যক্তিত্ব ড.শ্রী রবীন্দ্রনাথ সরকার প্রতি ঋত্বিক (প্রতি ঋত্বিক)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু।
এ সময় হিন্দু ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ গুরু ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শ্রীশ্রী ঠাকুরের দিব্য জীবন ও বানীর আলোকে ভারত, নেপাল, আমেরিকা, বাংলাদেশের বিশিষ্ট ধর্মীয় আলোচকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সৎসঙ্গের সাধারন সম্পাদক ও আনন্দধামের যুগ্ম মহাসচিব শ্রী বিশ্বজিৎ সাহা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব কমিটির সদস্য সচিব ও আনন্দধামের পরিচালক শ্রী বিপ্লব ঘোষ মনা। সঞ্চালনায় ছিলেন উৎসব কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শ্রীগোবিন্দ রায়।
সম্মানিত অতিথি আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বলেন, শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র বলতেন, ভগবান সবার কাছে সমান। আমরা ভগবানকে ততখানি পাই যতখানি ভক্তি অনুরাগে তার দিকে অগ্রসর হই। আলোর কাছে যত যাব তত আলো অনুভব করব ও তাপ পাব।
হাসিনা রহমান সিমু আরো বলেন, পরম প্রেমময় অনুকুল চন্দ্র ঠাকুর জীবনের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতেই মানুষকে পথ বাতলেছেন। ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র এমনি পরম ভক্ত ছিলেন যে, তার সারা জীবনের সকল কর্ম, বলা, চলা সকল কিছুইকেই ভগবানের কৃপা বলে মনে করতেন।
তিনি সকলকে বুঝাতেন ভগবানের সাথে আমাদের সম্পর্ক কতটুকু। অনুকুল ঠাকুর মানুষকে পরমাত্মার প্রেমে আবদ্ধ করেছিলেন।তিনি মানুষকে ভালবাসার রাস্তা দেখিয়েছেন। তিনি ব্রহ্মকে সঠিক অর্থেই উপলব্ধি করেছিলেন। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সৎসঙ্গ।তিনি ছিলেন মানবতার অগ্রদুত।
হাসিনা রহমান সিমু সবাইকে আহবান জানান, মনের বিশ্বাসে প্রেমময় ঠাকুরের অনুসরণ করুন তাহলেই আপনি পাবেন জাগতিক সুখ।
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের ভক্তবৃন্দ ছাড়াও এ সময় হিন্দু ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ গুরু ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।