সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯দফার রাজনীতির কোনো দ্বারে কাছেও নেই বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তারা দলীয় আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে বিএনপি’র রাজনীতিকে এখানে ভাইয়ের নীতি এবং ভাইয়ের রাজনীতিতে পরিণত করেছেন। কেউ কেউ এখানে পারিবারিক রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন, যারা দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ির চাকরের মতো ব্যবহার করেছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় এবার কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিকে ভাইয়ের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। নিজেকে জিয়া পরিবারের একজন ঘনিষ্টজন হিসেবে নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠা করেছেন। যে কারণে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল আলম সজল একটি মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা কিংবা মহানগর বিএনপি’র কোন শীর্ষ নেতা নয়, কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সোজা তারা ছুটে গেছেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের কাছে। সেখানে গিয়ে আজাদের গলায় ফুলের মালা পড়িয়েছেন। জেল খেটেছেন তারা অথচ ফুলের মালা দিলো আজাদের গলায়। আজাদ রাজনীতি করেন আড়াইহাজারে, অথচ কয়েক বছর ধরে মহানগরীর নেতা হয়ে সজলের পদচারণা আড়াইহাজারে।
এদিকে জানাগেছে, বিএনপির পার্টির অফিসের সামনে থেকে গ্ৰেপ্তার নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক কার্যকরী সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক দীর্ঘ ৩৭দিন কারাভোগের পর অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কারামুক্ত হয়েই বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কারামুক্ত যুবদল নেতা সাদেক ও সজল। এসময়ে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদও তাদেরকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।
গত (১৩ মার্চ) রবিবার ঢাকা জেলা দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান তাঁরা। এর পরদিন সোমবার দুপুরে ঢাকা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। কারামুক্ত যুবদল নেতা সাদেকুর রহমান সাদেক ও মনিরুল ইসলাম সজলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন যুবদল নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে রাজধানীর পল্টন থানাধীন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক ও মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজলকে গ্রেপ্তার করে পল্টন থানা পুলিশ। এর আগে দীর্ঘ সময় তারা দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকেন।
এরপর গত ( ৭ ফেব্রুয়ারি ) পল্টন থানার নাশকতা পরিকল্পনাকারী ও ভাঙচুর মামলায় গ্ৰেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনুকে প্রধান আসামিসহ ৬২জনকে আসামি ও ৩০০/৪০০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। দুপুরে আসামিদের ঢাকা সিএমএম আদালতে আসামিদের হাজির করে ৭দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।