সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর জেলা বিএনপির রাজনীতিতে আমুল পরিবর্তন এসেছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ সহ বিএনপি থেকে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বহিস্কৃত হওয়ার পর জেলা বিএনপির হাল ধরেছেন সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। আনাড়িধাচের ওয়ানম্যান শো ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এরি মধ্যে হয়ে গেছেন দুইজন। এই দুজনকে নিয়ে জেলা বিএনপিকে শক্তভাবে চাঙ্গা করে তুলেছেন অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির রাজনীতিতে বুড়োদের সরিয়ে শীর্ষ পদগুলোতে স্থান করে দেয়া হয়েছে তরুণ নেতৃত্বের হাতে।
তবে তরুণদের হাতেই যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে সেটার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যখন জেলা বিএনপির আওতাধীন থানা/উপজেলায় তৃণমুল পর্যায়ের সম্মেলন হচ্ছে। শুধু জেলায় নয় মহানগরীতেও তরুণ নেতৃত্বের হাতছানি দেখা দিয়েছে। জেলার মতো মহানগরীতেও বুড়োদের বাদ দিয়ে নতুনদের হাতে ওঠতে যাচ্ছে নেতৃত্ব। ফলে শক্ত খুটি হয়ে দাঁড়াচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি।
নেতাকর্মীদের সুত্রে জানাগেছে, এক সময়কার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি অধ্যাপক রেজাউল করিম হয়েছিলেন এমপি ও মন্ত্রী। রাজনীতির মাঠ ছেড়েছেন এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর। ২০১৪ সালের পূর্বে রাজনীতিতে উকিঝুকি দিলেও তিনি রাজনীতিতে নেই বয়স ও শারীরিক অক্ষমতায়। সোনারগাঁও থেকে রেজাউল করিমের পাশাপাশি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফরের রাজনীতিও শেসের দিকে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করায় তৈমুর আলম খন্দকারের সঙ্গে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকেও বহিস্কার করা্ হয়। তিনি এখন আমেরিকায়। বিএনপির রাজনীতি ঘোষণা দিয়ে ছেড়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। সান নারায়ণগঞ্জকে অনেকেই জানান শাহআলমের একনিষ্ঠ ঘণিষ্ট কর্মী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসকে সরিয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে তরুণ প্রজন্মের নেতা জাহিদ হাসান রোজেলকে। একই সঙ্গে জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকেও রাখা হয়েছে সদস্য সচিব পদে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ খন্দকার, সম নরুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলামের আরো অনেক নেতাদের বিদায় ঘন্টা। সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন, সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুরেরও বিএনপিতে কোনো অবস্থান নেই। সাবেক এমপি আবুল কালাম মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে থাকলেও রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থাকতে পারছেন না বয়স ও শারীরিক অবস্থার কারনে।
২০০৯ সালে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ২০১৬ সালে জেলা বিএনপির সভাপতি হয়েছিলেন শিল্পপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। ২০০৮ ও ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচন করেও পরাজিত হয়েছেন তিনি। তিনি এখন রাজনীতিতে নাই।
অন্যদিকে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি ও রুপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির রাজনীতির নিয়ন্ত্রক এখন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া। সান নারায়ণগঞ্জকে অনেকেই জানান আজাদের নিয়ন্ত্রিত আড়াইহাজার বিএনপির সদস্য সচিব হয়েছেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন। সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব পদে অধিষ্ট হয়েছেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সেক্রেটারি মোশারফ হোসেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব পদে অধিষ্ট হয়েছেন নতুন প্রজন্মের নেতা শাহআলম হীরা। জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীবেরও বিএনপিতে শক্ত অবস্থান রয়েছে। তিনি জেলা বিএনপির সদস্য পদে রয়েছেন। মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন তরুণ প্রজন্মের নেতা কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা।