প্রধানমন্ত্রীর মাতৃস্নেহে অটিস্টিক শিশুরা আজ রাষ্ট্রে মূল্যায়িত: হাসিনা রহমান সিমু

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের উদ্যোগে হাসিনা রহমান সিমুর নেতৃত্বে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে উৎযাপন করা হয়। দিনের কর্মসূচির মধ্যে ছিলে অটিজম শিশু-কিশোরদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভায় অংশগ্রহণ, জনসচেনতায় র‍্যালী, মধ্যাহ্নে “অটিজম–কর্মক্ষেত্রে অন্তর্ভূক্তি” শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও কেক কাটা।

মধ্যাহ্নে হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ার প্রাংগন, বন্দরে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্যদের সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠাতা হাসিনা রহমান সিমু।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুমাইয়া রহমান, ডাঃ আতিকুর রহমান, থেরাপিস্ট মোঃ জসিম, টেকনেসিয়ান এরশাদুল রহমান এনামুল হক প্রিন্স, মোসাম্মত হোসনে আরা মিনু, মোসাম্মত তাহমিনা আক্তার, সানজিদা ও আল-আমিন রাব্বি প্রমুখ।

এখানে উল্লেখ্য যে, অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে।

হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বলেন অটিজম কোনো রোগ নয় কিংবা কোন পাপ বা অভিশাপও নয়। এটি একটি ডিজঅর্ডার। এখন পর্যন্ত অটিজমের কোনো চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে নিবিড় পরিচর্যা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন অটিস্টিক শিশুকে অনেকাংশেই স্বাভাবিক শিশুদের মতো গড়ে তোলা যায়। তবে এক্ষেত্রে আরও যে বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, অটিস্টিক শিশুদের প্রতি সহানুভূতি ও সাহায্যকারী মনোভাব। তাদের প্রতি কখনোই বিরক্ত হওয়া যাবে না। প্রতিটা কাজে তাদের সাহায্য করতে হবে এবং তাদের মধ্যে এই ধারণাটি ঢুকিয়ে দিতে হবে যে, তারাও আমাদের মতো মানুষ, তারাও সব কাজ করতে সক্ষম।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে অটিস্টিক শিশু কিশোরদের কর্ম ক্ষেত্রের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে স্বচেষ্ট। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীর মাতৃস্নেহে অটিস্টিক শিশুরা আজ রাস্ট্রে মূল্যায়িত।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অটিজম আক্রান্ত শিশু-কিশোরদের অভিভাবক বৃন্দ ও সমাজহিতৈষী ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান শেষে অভ্যাসগতদের ও প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।