সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
সিদ্বিরগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলনে হামলা করেছে বহিরাগত কয়েকজন সন্ত্রাসী। এ সময় তারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সম্মেলনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারধর ও লাঠিপেটা করা হয়। এতে কমপক্ষে ১৪/১৫ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ- বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের লোকজন এই হামলা চালায়।
১৫ এপ্রিল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বেনজির আহমেদ টিটুসহ কেন্দ্রীয়ও জেলা বিএনপি নেতারা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলন শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। থানার ১০টি ওযার্ডের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে জড়ো হতে শুরু করে। এ সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবালের নেতৃত্বে কিছু লোক এসে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় তারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায়।
কাউন্সিলর ইকবাল এক সময় বিএনপির সমর্থিত হিসেবে কাউন্সিলর হলেও গত নির্বাচনে মেয়র আইভীর হয়ে কাজ করেন বলে থানা বিএনপির সদস্য সচিব শাহ আলম অভিযোগ করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সম্মেলনকে বাধাগ্রস্ত করতে কাউন্সিলর ইকবালের নেতৃত্বে তার লোকজন এ হামলা চালিয়ে বেশকজন নেতাকর্মীকে আহত করেছে। এ সময় তারা কমিউনিটি সেন্টারে ব্যাপক ভাঙচুর করে। কমপক্ষে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
শাহ আলম অভিযোগ করেন, ইকবাল আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে। তিনি সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের লোক।
নাসিক ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। তবে থানা বিএনপির সদস্য সচিব যদি আমার নামে এসব অভিযোগ করে থাকেন তবে আর কি করা।
সিদ্বিরগঞ্জ থানার ওসি মো. মশিউর রহমান স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা সঠিক নয়। বিএনপির দুই গ্রুপে চেয়ার দখলকে কেন্দ্র করে হাতহাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।