সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর কিশোরী গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী মিনু রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ২৫ এপ্রিল সোমবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক স্কোয়াড্রন লীডার একেএম মুনিরুল আলম।
তিনি জানান, গত ১৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার দেওভোগ এলাকায় একটি ১৩ বছরের কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে যার মামলা নম্বর-৫৯, তারিখ ১৮/০৪/২০২২ ; নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ধারা ৭, ৯(৩), ৩০। উক্ত ঘটনা বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রচারিত হয় যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
র্যাব আরো জানায়, উক্ত গণধর্ষণের ঘটনায় পলাতক আসামীদের সনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারের নিমিত্তে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ এপ্রিল রাত দেড়টায় র্যাব-১১, সিপিসি-১ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী মিনু রাসেলকে মুন্সীগঞ্জ লৌহজং থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম দেওভোগ এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ভিকটিম তার মায়ের সাথে দেওভোগ এলাকায় বসবাস করত। গত ১৩ এপ্রিল ভিকটিম তার নিজ বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী দেওভোগ আদর্শনগর এলাকায় নানীর বাসায় বেড়াতে যায়। অতপর ১৪ এপ্রিল সেহেরীর সময় নানীর সাথে নিজ বাসায় ফেরার পথে রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত মিনু রাসেলের পরামর্শে অত্র মামলার অপর আসামী মোঃ রিফাত ও সিফাত ভিকটিম (১৩) কে জোরপূর্বক অপহরণ করে মিনু রাসেল এর বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় ভিকটিমের নানী বাধা দিলে তাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে যায়। অতপর গ্রেপ্তারকৃত রাসেল এবং অপর ২ আসামী মিলে ভিকটিমকে ৪ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
গত ১৭ এপ্রিল ফতুল্লা থানা অত্র ঘটনার সাথে জড়িত মোঃ রিফাতকে গ্রেপ্তার করে এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভিকটিমকে মিনু রাসেল এর বাসা থেকে উদ্ধার করে। এ সময়ে রাসেল ও অপর আসামী সিফাত কৌশলে পালিয়ে যায়। অতপর ২৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখে গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানা এলাকা হতে অত্র গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী মিনু রাসেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য যে, গ্রেপ্তারকৃত রাসেল এর বিরুদ্ধে মাদক ও হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে এবং সে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার হত্যা মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী। অত্র মামলার অপর পলাতক আসামী সিফাতকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী মিনু রাসেল এর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।